কমছে প্রবৃদ্ধি, বাজেটে দেয়া লক্ষ্য পূরণ কঠিন হবে

|

রিমন রহমান:

মোট দেশজ উৎপাদন (জিডিপি) কমেছে। চলতি অর্থবছরের প্রথম তিন মাস অর্থাৎ জুলাই থেকে সেপ্টেস্বরে প্রবৃদ্ধির হার কমে হয়েছে ৬ দশমিক শূন্য ৭ শতাংশ। মূলত অর্থনৈতিক সঙ্কট ও ব্যয়ের সংকোচনমূলক নীতির কারণে এমন নেতিবাচক প্রভাব।

সরকারি ও বেসরকারি বিনিয়োগ না বাড়ানো গেলে পাল্টাবে না প্রবৃদ্ধির চিত্র। বাজেটে প্রবৃদ্ধির যে লক্ষ্যমাত্রা ধরা হয়, বছর শেষে তা অর্জন করা কঠিন হবে বলছেন বিশ্লেষকরা।

এদিকে, গত অর্থবছরের প্রথম প্রান্তিকে প্রবৃদ্ধির হার ছিল ৮ শতাংশের বেশি। অবশ্য ওই অর্থবছরের দ্বিতীয় প্রান্তিকে কিছুটা কমে যায় মোট দেশজ উৎপাদন। প্রশ্ন হচ্ছে সহসায় কী ফিরে আসবে চাঞ্চল্য?

অর্থনীতি বিশ্লেষক ড. সায়েম আমীর ফয়সাল বলেন, মূল্যস্ফীতি নিয়ন্ত্রণ করা ছাড়া সরকারের অন্য কোনো উপায় নেই।

এবার প্রবৃদ্ধি অর্জনের ক্ষেত্রে শিল্প খাতের বেশি অবদান। তারপরই সেবা খাতের নাম। উৎপাদনের ক্ষেত্রে সবচেয়ে তলানিতে কৃষি খাত। তবে গত অর্থবছরের প্রথম প্রান্তিকে সবচেয়ে বেশি হয় সেবা খাতের উৎপাদন।

ড. সায়েম আমীর ফয়সাল বলেন, আগে ৯ শতাংশে সুদে ঋণ পেতো। এখন ১২ শতাংশ সুদে ঋণ নিতে হচ্ছে। কিন্তু ব্যবসায় ১৫ শতাংশের বেশি লাভ করা যাচ্ছে না। এমন বাস্তবতায় জিডিপি প্রবৃদ্ধিতে বাধা আসবেই।

বলা হয়, ব্যক্তিখাতের বিনিয়োগ বাড়াতে দরকার ডলারের সহজ প্রাপ্যতা। কিন্তু আর্থিক মন্দা ও মূলধনী যন্ত্রপাতি আমদানি নিয়ন্ত্রণের ফলে বিনিয়োগে তৈরি হয়েছে প্রতিবন্ধকতা।

পরিকল্পনা মন্ত্রণালয় সংক্রান্ত সংসদীয় কমিটির সভাপতি এম এ মান্নান বলেন, শিল্প উৎপাদক ও ব্যবসায়ীরা আমদানি কম করছে। কারণ, তারা আগের মতো ডলার পাচ্ছে না, ঘাটতি আছে। আবার ডলারের মূল্যও বেশি। সবমিলিয়ে জটিল পরিস্থিতি। ফলে প্রথম প্রান্তিকে আমরা যে কমতি দেখছি, তাতে আমি অবাক নয়। বরং ভালো লাগছে ভয়ঙ্কর কোনো কমতি নয়।

উল্লেখ্য, ২০২৩-২০২৪ অর্থবছরে জিডিপির প্রবৃদ্ধির লক্ষ্যমাত্রা ধরা হয়েছে ৭ দশমিক ৫ শতাংশ।

/এমএন


সম্পর্কিত আরও পড়ুন




Leave a reply