চোখ ধাঁধানো আলোকসজ্জা আর জমকালো আয়োজনে চীনে উদযাপিত হয়েছে ঐতিহ্যবাহী লণ্ঠন উৎসব। মূলত চন্দ্রবর্ষ বরণেই এই আয়োজন। দু’সপ্তাহ ধরে চলা এই আয়োজনের পর্দা নামে লণ্ঠন উৎসবের মাধ্যমে। এসময় চীনে থাকে লম্বা ছুটি। উৎসব উপভোগ করেন বিশ্বের বিভিন্ন প্রান্ত থেকে আসা পর্যটকরাও। রোববার (২৫ ফেব্রুয়ারি) এক প্রতিবেদনে চীনের সংবাদ সংস্থা সিনহুয়া এ তথ্য জানায়।
প্রতিবেদনে বলা হয়, রঙ-বেরঙের লণ্ঠনে রঙীন চীনের শহরগুলো। এ যেন এক আলোর নগরী। দুই সপ্তাহ ধরে চলা চন্দ্রবর্ষ বরণের শেষ দিনটা ছিলো এমনই আলো ঝলমলে।
নানা রঙের, নানা আকারের লণ্ঠনে ছেয়ে গেছে পুরো শহর। কখনও মনে হবে এই যেন ছুটে আসছে ড্রাগন। আবার কখনও ফুলের রাজ্যে হারিয়ে যেতে মন চাইবে যে কারও। মাছের আকৃতি, ঘরবাড়ি কিংবা কার্টুনের চরিত্র ফুটিয়ে তোলা হয়েছে লণ্ঠনের আলোয়।
প্রতি বছর এই দিনের অপেক্ষায় থাকেন চীনা নাগরিকরা। যোগদেন বিশ্বের নানা প্রান্তের মানুষ। লাখ লাখ পর্যটকের পদচারণায় মুখর থাকে গোটা চীন। ভিনদেশীদের সামনে তুলে ধরা হয় নিজস্ব ঐতিহ্য ও সাংস্কৃতি। উপসানালয়গুলোতে চলে বিশেষ প্রার্থনা।
বেইজিং সোসাইটি অফ হিস্ট্রি অ্যান্ড ফোকলোর উপ-প্রধান লি লু বলেছেন, এটা চীনের সংস্কৃতি ও ঐতিহ্যের অংশ। লণ্ঠনের মধ্যে সবচেয়ে বেশি ব্যবহার হয় লাল রঙ। এছাড়া যুগ যুগ ধরে ঘোড়ার আকৃতিতে সাজানো হয় এসব লণ্ঠন। যা স্থানীয়দের পাশাপাশি আকৃষ্ট করে পর্যটকদেরও।
উল্লেখ্য, সুখ, সমৃদ্ধি, উজ্জ্বলতার প্রতীক হিসেবে প্রতি চন্দ্রবর্ষের প্রথম মাসে চীনে উদযাপন করা হয় এই লন্ঠন উৎসব। নতুন বছর যেন ভালো কাটে সেই আশায় ঘর এবং ঘরের বাইরে জ্বালানো হয় লণ্ঠন।
\এআই/
Leave a reply