ভারতের রাজনীতিতে সিনেমা কি প্রভাব ফেলে?

|

ভারতের জাতীয় রাজনীতির সাথে কি বড়পর্দার কোন সম্পর্ক রয়েছে? এক কথায় এর উত্তর দেয়া না গেলেও সাম্প্রতিক এক দশকে এমনটাই দেখা গেছে। ২০১৯ সালের লোকসভা নির্বাচনের আগে মুক্তি পাওয়ার কথা ছিল প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির জীবনীমূলক সিনেমা ‘পিএম নরেন্দ্র মোদি’। কিন্তু সেই সিনেমার বিরুদ্ধে মামলা হয়েছিল সুপ্রিম কোর্টে।

অভিযোগ ছিল, জাতীয় নির্বাচনের আগে সিনেমার নামে ব্যক্তি মোদির মহিমা প্রচার করা হবে। কিন্তু ভারতের নির্বাচন কমিশন আদর্শ আচরণবিধির যুক্তি দিয়ে বাধা দেয়ায় সেই ছবি মুক্তি পেয়েছিল লোকসভা নির্বাচনের পরে।

কিন্তু এই সিনেমা মুক্তিতে বাধাপ্রাপ্ত হলেও ‘দ্য অ্যাক্সিডেন্টাল প্রাইম মিনিস্টার’ নামের একটি সিনেমা মুক্তি পায়, যেটির মূল গল্প ছিল দেশটির সাবেক প্রধানমন্ত্রী মনমোহন সিংয়ের আমলে হওয়া নানা খামতি ও দুর্নীতি।

এদিকে কিছুদিন পর আবারও ভারতের জাতীয় নির্বাচন। মুক্তি পেয়েছে ‘আর্টিকেল ৩৭০’ নামের আরেকটি সিনেমা। আর্টিকেল ৩৭০ মূলত জম্মু কাশ্মির ইস্যু নিয়ে তৈরি করা হয়েছে। দেশটির প্রধানমন্ত্রী জম্মু রাজ্যে গিয়ে বলেছেন, এই সিনেমায় মানুষ সঠিক তথ্য পাবে। প্রধানমন্ত্রীর এই বক্তব্যে বিরোধী জোট কংগ্রেস প্রশ্ন তুলেছে, তাদের দেশের রাজনীতিতে ফিল্মের সাহায্যে প্রোপাগান্ডার সংস্কৃতি চালু করেছে বিজেপি।

এদিকে কংগ্রেস নেতারা ‘কাশ্মির ফাইলস’ ও ‘কেরালা স্টোরি’ সিনেমা দুটোর উদাহরণও টানেন। বলেন, এর আগেও আসল ঘটনাকে আড়াল করে রাজনৈতিক উদ্দেশ্যে জনসাধারণকে বোকা বানাতে চেয়েছে ক্ষমতাসীনরা। এসব সিনেমার বিশ্বাসযোগ্যতা নিয়ে প্রশ্ন রয়েছে। মনমোহন সিং এর সিনেমাটি পরিচালনা করেছেন বিজেপির এক বিধায়কের ছেলে। তালিকায় রয়েছে ‘উরি: দ্য সার্জিকাল স্ট্রাইক’ এর মতো সিনেমাও। যেগুলো খুব কৌশলে মোদির মহিমা প্রচার হয়েছে বলে অভিযোগ কংগ্রেস ও বিরোধী জোটের।

উল্লেখ্য, ভারতের আঞ্চলিক বিভিন্ন ইন্ডাস্ট্রি ও বলিউডে সাম্প্রতিক সময়ে বায়োপিক তৈরি বেড়েছে। তামিলনাড়ুর সাবেক মুখ্যমন্ত্রী জয়ললিতার বায়োপিক দেশটিতে বেশ প্রশংসিত হয়েছিল। রাজনৈতিক গল্পের সিনেমাও ভারতের দর্শকরা পছন্দ করে।

/এমএইচআর


সম্পর্কিত আরও পড়ুন




Leave a reply