বিএনপি চেয়ারপারসন বেগম খালেদা জিয়ার চ্যারিটেবল ট্রাস্ট দুর্নীতি মামলার রায় আগামী ২৯ অক্টোবর ঘোষণা করা হবে। আজ মঙ্গলবার সকালে পুরাতন কেন্দ্রীয় কারাগারে স্থাপিত বিশেষ আদালতে এই দিন ধার্য করেন।
রায় ঘোষণার আগ পযর্ন্ত বেগম খালেদা জিয়া জামিনে থাকবেন। খালেদা জিয়ার অনুপস্থিতিতে জিয়া চ্যারিটেবল ট্রাস্ট দুর্নীতি মামলার বিচারকাজ চলতে বাধা নেই বলে এর আগে আদেশ দিয়েছিলেন হাইকোর্ট। এই আদেশের বিরুদ্ধে আপিল করার কথা জানিয়েছেন বেগম জিয়ার আইনজীবীরা। এদিকে, এ মামলায় বেগম জিয়ার জামিন বিষয়ে ১৬ অক্টোবর আদেশের দিন ধার্য করেছিলেন বিচারিক আদালত।
জিয়া অরফানেজ ট্রাস্ট দুর্নীতি মামলায় বেগম জিয়া কারাগারে যাওয়ার পর স্থবির হয়ে পড়ে জিয়া চ্যারিটেবল ট্রাস্ট দুর্নীতি মামলার কার্যক্রম। পুরানো কারাগারে আদালত স্থানান্তর করেও কাটেনি এ স্থবিরতা। অসুস্থতার কারণ দেখিয়ে বারবার আদালতে আসতে চাননি বেগম জিয়া। ফলে এগোইনি মামলার কার্যক্রম।
এ প্রেক্ষাপটে গত ২০ সেপ্টেম্বর বেগম জিয়ার অনুপস্থিতিতে জিয়া চ্যারিটেবল ট্রাস্ট দুর্নীতি মামলার বিচার শুরুর আদেশ দেন বিশেষ জজ আদালত। এ আদেশের বিরুদ্ধে উচ্চ আদালতে যান বেগম জিয়ার আইনজীবীরা। এ সংক্রান্ত রিটটি রোববার সরাসরি খারিজ করে দেন উচ্চ আদালত। বেগম জিয়ার আইনজীবীরা জানিয়েছেন, তারা এ আদেশে সংক্ষুব্ধ। আদেশের বিরুদ্ধে আপিল করার কথাও জানান।
প্রসঙ্গত, জিয়া চ্যারিটেবল ট্রাস্টের নামে অবৈধভাবে তিন কোটি ১৫ লাখ ৪০ হাজার টাকা লেনদেনের অভিযোগে বিএনপি চেয়ারপারসন খালেদা জিয়াসহ চারজনের বিরুদ্ধে ২০১০ সালের ৮ আগস্ট তেজগাঁও থানায় এ মামলা দায়ের করে দুর্নীতি দমন কমিশন (দুদক)। ২০১২ সালের ১৬ জানুয়ারি আদালতে এ মামলার অভিযোগপত্র দাখিল করা হয়। এ মামলার অন্য আসামিরা হচ্ছেন খালেদা জিয়ার সাবেক রাজনৈতিক সচিব হারিছ চৌধুরী, হারিছ চৌধুরীর তখনকার একান্ত সচিব জিয়াউল ইসলাম মুন্না ও ঢাকার সাবেক মেয়র সাদেক হোসেন খোকার একান্ত সচিব মনিরুল ইসলাম খান। মামলার আগে থেকেই হারিছ চৌধুরী পলাতক রয়েছেন।
Leave a reply