কক্সবাজারের উখিয়া উপজেলার হলদিয়াপালং ইউনিয়নের পশ্চিম মরিচ্যা গ্রাম। সকাল থেকেই শোকে স্তব্ধ গোটা এলাকা। শনিবার রাতে নিয়ে যাওয়া হয় বেইলি রোডে অগ্নিকাণ্ডে নিহত কাস্টমস কর্মকর্তাসহ স্ত্রী ও সন্তানের মরদেহ। এর আগে, বৃহস্পতিবার রাতে গ্রিন কোজি ভবনে সপরিবারে নিহত হন তারা।
রোববার (৩ ফেব্রুয়ারি) বেলা ১১টায় টেকনাফ-কক্সবাজার সড়কের পূর্ব পাশে মরিচ্যা মুক্তিযোদ্ধা স্মৃতি বালিকা উচ্চবিদ্যালয় মাঠে সম্পন্ন হয় তিনজনের জানাজা। এ সময় বাবা-মায়ের পাশেই শায়িত করা হয় ফুটফুটে ফাইরুজকে।
এ দিন সকাল থেকে দূর-দূরান্ত থেকে তাদের এক নজরে দেখতে ছুটে আসেন হাজারো মানুষ। মরদেহবাহী অ্যাম্বুলেন্স ঘিরে চলে স্বজনদের আহাজারি। চোখের পানি ধরে রাখতে পারেনি সাধারণ মানুষও। সবার বুকে ছিল পাহাড়সম পাথর। এ সময় সবার কণ্ঠে ধ্বনিত হয়, এমন মর্মান্তিক দুর্ঘটনার যেন পুনরাবৃত্তি না ঘটে। আর যেন কোনো বাবা-মায়ের কোল খালি না হয়।
সরেজমিন গিয়ে দেখা যায়, উঠোনে পাশাপাশি রাখা শুল্ক কর্মকর্তা শাহজালাল উদ্দিন (৩৫), স্ত্রী মেহেরুন নিসা জাহান হেলালি (২৪) ও একমাত্র মেয়ে ফাইরুজ কাশেম জামিরা (৪)। শোকে বিলাপ করছেন শাহজালালের বৃদ্ধ বাবা আবুল কাশেম। আত্মীয় স্বজনেরা শেষ বারের মতো দেখে যাচ্ছেন তাদের মুখ।
জানাজার আগে তাদের আলোকিত জীবন নিয়ে স্মৃতিচারণ করেন উখিয়া-টেকনাফের সাবেক সাংসদ আবদুর রহমান বদি, নিহত শাহ জালালের পিতা বীর মুক্তিযোদ্ধা আবুল কাশেম, উখিয়া আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক রাজাপালং ইউনিয়নের চেয়ারম্যান জাহাঙ্গীর কবির চৌধুরী, ঝিলংজা ইউনিয়নের চেয়ারম্যান টিপু সুলতান, হলদিয়া পালং ইউনিয়নের চেয়ারম্যান ইমরুল কায়েসসহ স্থানীয় আওয়ামী ও পরিবারের সদস্যরা।
অগ্নিকাণ্ডের ঘটনার পর অজ্ঞাতনামা হিসেবেই তাদের মরদেহ পড়ে ছিল ঢাকা মেডিকেলের মর্গে। শনাক্তের পর গতকাল রাত ১০টার দিকে মরদেহ নিয়ে তিনি গ্রামের বাড়িতে পৌঁছান শাহজাহানের বড় ভাই সাজু।
এটিএম/
Leave a reply