ইংলিশ প্রিমিয়ার লিগে ‘ম্যানচেস্টার ডার্বি’তে ম্যানচেস্টার ইউনাইটেডকে ৩-১ গোলে হারিয়েছে ম্যানচেস্টার সিটি। ম্যাচের শুরুতেই মার্কাস র্যাশফোর্ডের গোলে এগিয়ে যায় রেড ডেভিলরা। এরপর একক আধিপত্য দেখায় সিটিজেনরা। একের এক আক্রমণের পশরা সাজিয়ে দ্বিতীয়ার্ধে দারুণ সব গোলে ডার্বি জয়ের উল্লাসে মাতে পেপ গার্দিওলার শিষ্যরা।
রোববার (৩ মার্চ) নিজেদের ঘরের মাঠ ইতিহাদ স্টেডিয়ামে ম্যানচেস্টার ইউনাইটেডকে আতিথ্য জানায় ম্যানচেস্টার সিটি। ম্যাচের ৮ম মিনিটে দারুণ এক প্রতি-আক্রমণে অসাধারণ এক গোলে সিটিকে স্তব্ধ করে দেন র্যাশফোর্ড। ডি-বক্সের বাইরে প্রতিপক্ষের একজনের চ্যালেঞ্জের মুখে বল নিয়ন্ত্রণে নিয়ে কাটব্যাক করেন ব্রুনো ফার্নান্দেস। আর প্রথম ছোঁয়ায় ২৫ গজ দূর থেকে বুলেট গতির শট নেন র্যাশফোর্ড, বল ক্রসবারের নিচের অংশে লেগে জালে জড়ায়।
পিছিয়ে পরার পর মরিয়া হয়ে ওঠে সিটিজেনরা। ম্যাচের ১৪তম মিনিটে দারুণ এক সুযোগ পেয়েও শেষ বাধা ভাঙতে পারেননি ফোডেন। ডি-বক্সে অরক্ষিত এই মিডফিল্ডারের শট পা দিয়ে ঠেকিয়ে দেন ইউনাইটেড গোলরক্ষক আন্দ্রে ওনানা। চার মিনিট পর তিনি ফোডেনের আরেকটি প্রচেষ্টাও রুখে দেন। গোলের জন্য মরিয়া সিটির টানা আক্রমণের সামনে প্রথমার্ধে বেশ দৃঢ়তায় ঘর সামলে রাখে ইউনাইটেডের রক্ষণভাগ। ওনানাও ছিলেন তৎপর, ৩৩তম মিনিটে রদ্রির শটও ঝাঁপিয়ে ফিরিয়ে দেন তিনি।
ম্যাচের ৪৫তম মিনিটে সহজ সুযোগ নষ্ট করেন আর্লিং হাল্যান্ড। ফোডেনের হেড পাস ছয় গজ বক্সে পেয়ে কেবল আলতো একটা টোকার দরকার ছিল; কিন্তু তিনি কিনা বল ক্রসবারের ওপর দিয়ে পাঠিয়ে দেন। প্রচণ্ড হতাশায় ডাগআউটে মাথায় হাত উঠে যায় কোচ গার্দিওলার। ১-০ গোলে পিছিয়ে থেকে বিরতিতে যায় স্বাগতিকরা।
বিরতির পরও একই ধারায় চলতে থাকে লড়াই। দীর্ঘ প্রচেষ্টার পর অবশেষে ৫৬তম মিনিটে সমতায় ফেরে সিটি। রদ্রির পাস ধরে কিছুটা আড়াআড়ি গিয়ে দূরপাল্লার জোরাল শটে ঠিকানা খুঁজে নেন ফোডেন। গোলটি নিয়ে অবশ্য বিতর্ক তৈরি হতে পারে। এর আগে পাল্টা আক্রমণে ছিল ইউনাইটেড। কাইল ওয়াকারকে পেছনে ফেলে র্যাশফোর্ড বল নিয়ন্ত্রণে নিলেও প্রতিপক্ষের চ্যালেঞ্জে পড়ে যান তিনি, তাতে ফ্রি-কিকের জোরাল আবেদন করে তারা। অবশ্য র্যাশফোর্ড খুব সহজেই পড়ে গিয়েছিলেন। ফোডেনের গোলের আক্রমণের সেখান থেকেই শুরু।
প্রথমার্ধে ৭৪ শতাংশ বলের দখল রাখার পরও গোল করতে ব্যর্থ সিটি দ্বিতীয় গোলটি পেয়ে যায় ৮০ মিনিটে। এই গোলটাও বক্সের বাইরে থেকে করেন ফোডেন। যোগ করা সময়ের প্রথম মিনিটে তৃতীয় গোলটি করে সিটির জয় নিশ্চিত করে দেন হাল্যান্ড। ২৭ ম্যাচে ১৯ জয় ও ৫ ড্রয়ে সিটির পয়েন্ট হলো ৬২। ১ পয়েন্ট বেশি নিয়ে শীর্ষে লিভারপুল। এক ম্যাচ কম খেলে ৫৮ পয়েন্ট নিয়ে তৃতীয় স্থানে আর্সেনাল। ২৭ ম্যাচে ৫৫ পয়েন্ট নিয়ে চার নম্বরে অ্যাস্টন ভিলা। অন্যদিকে, এবারের লিগে ১১তম হারের দেখা পাওয়া ইউনাইটেড ১১ ম্যাচ হাতে রেখে শীর্ষ চারের চেয়ে ১১ পয়েন্টে পিছিয়ে পড়লো। ২৭ ম্যাচে ৪৪ পয়েন্ট নিয়ে দলটি এখন আছে ছয়ে।
/আরআইএম
Leave a reply