গাজা উপত্যকার রাফাহ এখন বাস্তুচ্যুতদের নিয়ে ঠাঁসা একটি অঞ্চল। মাত্র ৬৪ বর্গকিলোমিটার জায়গায় বাস করছেন প্রায় ২০ লাখ মানুষ। মৌলিক সেবা থেকে বঞ্চিত, ইসরায়েলি আগ্রাসনে বিপর্যস্ত এই ফিলিস্তিনিরা। ভুগছেন- স্যানিটেশন সমস্যা’সহ মারাত্মক স্বাস্থ্যঝুঁকিতে।
নাইলনের বানানো তাঁবুতে মানবেতর দিন কাটছে অসহায় ফিলিস্তিনিদের। ইসরায়েলি বর্বরতায় বাস্তচ্যুত গাজাবাসীর অধিকাংশই আশ্রয় নিয়েছে দক্ষিণের রাফাহ এলাকায়। কিন্তু অবরুদ্ধ অঞ্চলটিতে মিলছে না জীবনধারনের ন্যূনতম সুবিধা।
নেই পানি, খাবার কিংবা স্যানিটেশন সুবিধা। সেই সাথে শীত-বৃষ্টির মতো প্রাকৃতিক বৈরিতার সাথে যোগ হয়েছে মারাত্মক স্বাস্থ্যঝুঁকি; শরণার্থী শিবিরের অধিকাংশ স্থানে দেখা মেলে জমাট বাধা নোংরা পানি, নর্দমা আর ময়লার স্তূপ। অনেকেই আক্রান্ত হচ্ছে স্ক্যাবিস, র্যাশসহ নানা সংক্রামক ব্যাধিতে।
বিধ্বস্ত উপত্যকায় কিছুটা নিরাপদ ছিল রাফা। গাজার ২৩ লাখ জনসংখ্যার বাস্তুচ্যুত প্রায় ২০ লাখ বাসিন্দা। যার মধ্যে ১৫ লাখই বর্তমানে অবস্থান করছেন রাফায়। কিন্তু প্রতি মুহূর্তেই তাদের করতে হচ্ছে বেঁচে থাকার লড়াই।
ভুক্তভোগী এক ফিলিস্তিনি যুবক ইয়াসের আম্মার বলেন, নর্দমার এসব পানি অনেক সমস্যা করছে। কিছুদিন আগে আমাদের তাঁবুতে নোংরা পানি ঢুকে পড়ে। যার কারণে, সন্তানদের রোগ-বালাইয়ে পড়তে হয়েছে।
রোগ-ব্যাধি ছাড়াও শিবিরে উৎপাত বেড়েছে মশা-মাছির। এতে বাড়ছে ডেঙ্গু-ম্যালেরিয়ার মতো রোগের শঙ্কা। জমে থাকা ময়লার তীব্র দুর্গন্ধে শারীরিক ও মানসিকভাবে ক্ষতিগ্রস্থ হচ্ছেন ফিলিস্তিনিরা।
আসাব আল আত্তার নামের আরেক যুবক বলেন, এখানে জমে থাকা ময়লা পানির কারণে নাক কাজ করছে না। মশা-মাছিরও প্রকোপ বেড়েছে। রাফাহ’র মেয়রের কাছে দাবি জানাচ্ছি, যেন এই সমস্যার সুরাহা করেন।
পানি সংকটে চরম দুর্ভোগে পড়েছেন রাফায় আশ্রয় নেয়া মানুষগুলো। কখনও পানি পেয়ে আবার কখনও বা পানিশুন্যতায় দিন পার করছেন গাজার বাস্তুচ্যুত এই বাসিন্দারা।
এটিএম/
Leave a reply