লাফিয়ে লাফিয়ে বাড়ছে ক্রিপ্টোকারেন্সি বিটকয়েনের দাম। তাতে রেকর্ড মূল্যের দ্বারপ্রান্তে পৌঁছে গেছে এই ডিজিটাল মুদ্রার দর। আজ মঙ্গলবার (৫ মার্চ) একপর্যায়ে ভার্চুয়াল এ মুদ্রাটির দর গিয়ে দাঁড়ায় ৬৮ হাজার ৮০০ ডলারে। যা গত দুবছরের মধ্যে সর্বোচ্চ। খবর রয়টার্সের।
এর আগে, ২০২১ সালের নভেম্বরে বিটকয়েনের দাম ৬৮ হাজার ৯৯৯ দশমিক ৯৯ ডলারে পৌঁছেছিল। যা এখন পর্যন্ত সর্বোচ্চ। আজ বিটকয়েনের দাম সেই রেকর্ড মূল্যের পাশে এসে দাঁড়ায়। পরে অবশ্য ১.২ শতাংশ কমে এখন ৬৬ হাজার ৭০৯ ডলারে দাঁড়িয়েছে এ মুদ্রার দাম। কিছুটা কমলেও স্পষ্টত তা রেকর্ড মূল্যের কাছাকাছিই।
করোনা মহামারির সঙ্কট কাটিয়ে বিশ্ব অর্থনীতি যখন ঘুরে দাঁড়ানোর চেষ্টা করছিল, তখন কমতে শুরু করে বিটকয়েনের দাম। তাতে অনেকে আবারও এ মুদ্রার ভবিষ্যৎ নিয়ে প্রশ্ন তোলেন। ২০২২ সালে এফটিএক্সের পতনের পর বিটকয়েনের দাম ১৬ হাজার ডলারে নেমে গিয়েছিল। ২০২৩ সালের প্রায় পুরোটা সময়জুড়েই বিটকয়েনের দাম ২০ হাজার থেকে ৩০ হাজারের মধ্যে স্থির ছিল।
তবে মার্কিন কর্তৃপক্ষ বিটকয়েনের স্পট ইটিএফের অনুমোদন দিতে পারে এমন সম্ভাবনার মধ্যে ডিসেম্বরের মধ্যেই এই মুদ্রার দাম হু হু করে বাড়তে শুরু করে। চব্বিশে এখন পর্যন্ত বিশ্ববাজারে বিটকয়েনের দর বেড়েছে ৫০ শতাংশ। যার মধ্যে গেলো ফেব্রুয়ারিতেই বেড়েছে ৪২ শতাংশ। এ নিয়ে ডেইলি মেইলের এক প্রতিবেদনে বলা হয়, এটি ক্রিপ্টো মুদ্রার জন্য উল্লেখযোগ্য অগ্রগতি।
উল্লেখ করার মতো বিষয় হলো, ইটিএফের অনুমোদন পাওয়ার পর বিটকয়েনের দাম হঠাৎ করে ৩৮ হাজার ডলারে নামে। পরে তা আবারও বাড়তে শুরু করে। স্পট ইটিএফের মাধ্যমে মূলত ক্রিপ্টোকারেন্সির মূল্য নির্ধারিত হয়।
প্রসঙ্গত, গত জানুয়ারিতে যুক্তরাষ্ট্রের সিকিউরিটিস অ্যান্ড এক্সচেঞ্জ কমিশন (এসইসি) ইটিএফের মাধ্যমে বিটকয়েনে বিনিয়োগের অনুমোদন দিয়েছে। এর ফলে বিনিয়োগকারীরা এখন থেকে প্রথাগত পদ্ধতিতে বিটকয়েনে বিনিয়োগ করতে পারছেন। তাতে মানুষও বিনিয়োগ করতে উৎসাহী হচ্ছেন।
/এমএন
Leave a reply