সাইফুদ্দিন রবিন:
২৮ অক্টোবরের সেই সংঘর্ষে সমাবেশ পণ্ড হয়ে যাওয়ার পরের রাজনীতিতে বিএনপি ও এর অঙ্গসংগঠনগুলোর জন্য দৃশ্যমান কর্মকাণ্ড অনেকটা কঠিন হয়ে পড়ে। রাজপথের আন্দোলনে শান্তিপূর্ণ পন্থা বেছে নিলেও কতটা সক্রিয়ভাবে সেই সংগ্রামে ছিল দলের ‘ভ্যানগার্ড’ খ্যাত ছাত্রদল?
এমন পরিস্থিতিতে সবাইকে চমকে দিয়ে ঘোষণা করা হলো কেন্দ্রীয় ছাত্রদলের আংশিক কমিটি। যেখানে নেতৃত্ব নির্বাচনে সর্বশেষ আন্দোলন সংগ্রামের ভূমিকাকে প্রাধান্য দিয়েছে হাইকমান্ড।
ছাত্রদলের সভাপতি রাকিবুল ইসলাম রাকিব বলেন, আমিসহ যাদেরকে বেছে নেয়া হয়েছে, সবাইকে আন্দোলনের পরীক্ষিত নেতৃত্ব হিসেবে বেছে নেয়া হয়েছে। বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী ছাত্রদলের নতুন কমিটির মাধ্যমে আমাদের একটি নবযাত্রা শুরু হয়েছে।
সাধারণ সম্পাদক নাসির উদ্দিন নাসির বলেন, আন্দোলন সংগ্রামের মধ্য দিয়েই আমরা বড় হয়েছি। অনেক ত্যাগ ও পরিশ্রম আমাদের গড়ে ওঠার ক্ষেত্রে সহায়তা করেছে।
ছাত্রদল সাংগঠনিক সম্পাদক আমান উল্ল্যাহ আমান বলেন, গত ৭ জানুয়ারি ডামি নির্বাচন হয়েছে। সেখানে মূল টার্গেট করা হয়েছিল ছাত্রদলকে। আমাদের অসংখ্য কর্মী রিমান্ডে নির্যাতনের শিকার হয়েছেন। কারাগারে ছিলেন, এখনও আছেন। এরকম দুর্বিষহ একটি অবস্থার মধ্য দিয়ে আমাদের ছাত্র রাজনীতি করতে হচ্ছে।
প্রায় ১৭ বছর ক্ষমতার বাইরে বিএনপি। রাষ্ট্রযন্ত্রের বিরুদ্ধে নিপীড়নের অভিযোগের মধ্যেই রাজপথের আন্দোলনে ভরসা খুঁজতে হচ্ছে এই দলকে। কিন্তু সেই আন্দোলনে ছাত্রদলের ভূমিকা নিয়ে প্রকাশ্যে আক্ষেপ ছিল বিএনপির শীর্ষ নেতাদের। দায়িত্ব পাওয়া নতুন নেতৃত্ব বলছেন, এবার সেই আক্ষেপ ঘোচানোর সময়।
নাসির উদ্দিন নাসির বলেন, বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী ছাত্রদল এই আন্দোলনে অগ্রণী ভূমিকা পালন করবে। একইসঙ্গে, ছাত্রদলের মাধ্যমেই সরকার বিরোধী আন্দোলনের সমাপ্তি হবে।
ক্যাম্পাসগুলোকে যতোই ‘মিনি ক্যান্টনমেন্ট’ বানিয়ে আমাদের ওপর নির্যাতনের স্টিমরোলার চালানো হোক না কেন, কথা বলার স্বাধীনতার জন্য এই দেশে সংগ্রাম হয়েছে, সেই মুক্তবাক আমরা চালু করতে পারবো বলে আশাবাদ ব্যক্ত করেন ছাত্রদল সাংগঠনিক সম্পাদক আমান উল্ল্যাহ আমান।
নেতারা জানান, আন্দোলননির্ভর এবং পরীক্ষিতরাই আসবে সারাদেশের ছাত্রদলের কমিটিতে। শুধু কেন্দ্রীয় ছাত্রদলের আংশিক কমিটিই নয়, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় ছাত্রদলের কমিটিও পুনর্গঠন করা হয়েছে। দ্রুত সময়ের মধ্যেই পূর্ণাঙ্গ কমিটি গঠনের আশা নেতাদের।
\এআই/
Leave a reply