সিনিয়র করেসপনডেন্ট, সিরাজগঞ্জ :
শিক্ষার্থীকে গুলি করে আলোচনায় আসা ডা. রায়হান শরীফের বিরুদ্ধে বেরিয়ে আসছে নানা অজানা রহস্য। শুধু শিক্ষার্থীদের ভয়ভীতি, ছাত্রীদের উত্ত্যক্ত করা, শ্রেণিকক্ষেই পিস্তল প্রদর্শনই নয়, চলার পথে যানবহন ও কর্মস্থলেও পিস্তল নিয়ে ঘুরে বেড়ানোর অভিযোগ রয়েছে তার বিরুদ্ধে।
রাস্তায় চলার পথে বাসের এক যাত্রীর দিকে পিস্তল তাক করে ভয় দেখাতেন তিনি। এমন একটি ছবি এসেছে যমুনা টেলিভিশনের হাতে। ছবিটি কবে ও কোথায় তোলা হয়েছে সেটি জানা যায়নি। তবে এসব জেনেও নীরব ছিল কর্তৃপক্ষ।
খোঁজ নিয়ে জানা যায়, মনসুর আলী মেডিকেল কলেজের ক্যান্টিনে বাকি খেতেন শিক্ষক রায়হান। টাকা চাইলে গুলি করার ভয় দেখাতেন তিনি। গত ১০ মাসে কলেজ ক্যান্টিনে প্রায় ১১ হাজার টাকা বাকি খেয়েছেন শরীফ। ওই ক্যান্টিনের মালিক স্বপন ইসলাম বলেন, টাকা চাইলে তিনি বলেন পরে দিমু। পরে কখন দিবেন বললে পিস্তল বের করে ধমক দেন।
সিরাজগঞ্জের সাবেক ছাত্রলীগ নেতা আশিক ইমরান জানান, সম্প্রতি শহরের অভিসিনা হাসপাতালের সামনে রায়হান শরীফ এক রিকশা চালককে পিস্তল দেখিয়ে ভয় দেখিয়েছেন। তিনি তখন ওখানেই দাঁড়িয়ে ছিলেন। তাকে দেখে প্রশাসনের লোক ভেবেছিলেন তিনি।
আরও পড়ুন: এবার বরখাস্ত হলেন রায়হান শরীফ
পিস্তল তাক করে ভয় দেখানোর বিষয়টি নিয়ে নর্থ বেঙ্গল মেডিকেল কলেজের শিশু বিভাগের ডা. লিয়াকত আলী বলেন, হাসপাতালের একটি দায়িত্ব বণ্টনের বিষয় নিয়ে রায়হান শরীফ আমার মাথায় পিস্তল ঠেকিয়ে ভয় দেখিয়েছিল। পরে বিষয়টি আমি হাসপাতাল কর্তৃপক্ষকে জানাই। তখন রায়হান শরীফকে ওই হাসপাতাল থেকে চাকরিচ্যুত করা হয়।
এদিকে আদালতে স্বীকারোক্তিতে রায়হান শরীফ বলেন, তিনি ওই শিক্ষার্থীকে গুলি করেছেন। তবে ভয় দেখাতে পিস্তলটি বের করেছিলেন। অনিচ্ছাকৃতভাবে গুলি বের হয়ে গেছে।
শিক্ষার্থীদের কাছে জানা যায়, তমালকে গুলি করার আগে শিক্ষার্থীদের ওপর ক্ষুব্ধ হন শরীফ। তিনি শিক্ষার্থীদের প্রশ্ন করেন তোমাদের কারোর পোষা পাখি আছে? আমার আছে। এই বলে তিনি ব্যাগ থেকে পিস্তল বের করেন। বলেন এটি আমার পোষা পাখি। এরপর তিনি গুলি করেন।
এটিএম/
Leave a reply