গত মঙ্গলবার (৫ মার্চ) কৃষ্ণসাগরে একটি রুশ সামরিক জাহাজে হামলা চালায় ইউক্রেন। এতে ব্যবহার করা হয় আন্ডার ওয়াটার ড্রোন, যা ‘সাবমেরিন ড্রোন’ নামে পরিচিত। ভিডিওতে দেখা যায়, ড্রোনটি আঘাত করার সাথে সাথেই বিস্ফোরিত হয় জাহাজের একটি অংশ। গেল মাসেও একই কায়দায় ধ্বংস হয় আরেকটি রুশ যুদ্ধজাহাজ।
কৃষ্ণসাগরে মোতায়েন থাকা রুশ নৌবাহিনীর জন্য মাথাব্যথা হয়ে উঠেছে এসব সাবমেরিন ড্রোন। আন্তর্জাতিক বিভিন্ন সংস্থা বলছে, মূলত তিন ধরনের ড্রোন ব্যবহার করে রুশ জাহাজে হামলা চালাচ্ছে ইউক্রেনীয় বাহিনী। এসব সাবমেরিন ড্রোন ৪শ’ থেকে ৭শ’ নটিক্যাল মাইল পর্যন্ত যেতে পারে। বহন করতে পারে ৩শ’ কেজির বেশি বিস্ফোরক।
জাহাজে হামলা ছাড়াও তথ্য সংগ্রহ, নজরদারি ও আক্রমণ প্রতিরোধের কাজে ব্যবহৃত হয় এসব ড্রোন। স্টিলথ প্রযুক্তি ব্যবহৃত হওয়ায় সহজেই ফাঁকি দিতে পারে রাডার। পানির নিচে ডুবে থাকায় পাল্টা প্রতিরোধ ব্যবস্থা ব্যবহার করে এটিকে প্রতিহত করা প্রায় অসম্ভব হয়ে ওঠে। একেকটি ড্রোনের দাম পড়ে দুই থেকে আড়াই লাখ ডলার।
ইউক্রেনের হামলায় এখন পর্যন্ত ২৫টির মতো রুশ যুদ্ধজাহাজ ধ্বংস হয়েছে। যার মধ্যে আলোচিত ডেস্ট্রয়ার মস্কোভা ও সাবমেরিন রস্তোভও রয়েছে।
/এএম
Leave a reply