বঙ্গবন্ধুর ৭ মার্চের ভাষণ মুক্তিযুদ্ধে বিজয় এনে দিয়েছে এমন মন্তব্য করে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলেছেন, জাতির পিতা শেখ মুজিবুর রহমানের সেই ভাষণ মানুষকে শুধু গেরিলা যুদ্ধের প্রস্তুতি নয়, মুক্তিযুদ্ধেও উদ্বুদ্ধ করেছে। বিজয় এনে দিয়েছে। আজকে এই ভাষণ শুধু আমাদের না, আন্তর্জাতিকভাবেও স্বীকৃতি পেয়েছে।
বৃহস্পতিবার (০৭ মার্চ) ঐতিহাসিক ৭ মার্চ উপলক্ষ্যে আয়োজিত আলোচনা সভায় অংশ নিয়ে তিনি এ কথা বলেন।
১৯৬৯ সালে লন্ডন থেকেই পূর্ব বাংলায় গেরিলা যুদ্ধের পরিকল্পনা সাজিয়েছিলেন জানিয়ে প্রধানমন্ত্রী বলেন, তিনি (বঙ্গবন্ধু) বুঝতে পেরেছিলেন পাকিস্তানি সামরিক জান্তা কখনওই ক্ষমতা ছাড়বে না। ওই বৈঠকে ভারতের দু’জন প্রতিনিধিও ছিলেন জানিয়ে শেখ হাসিনা বলেন ওই ঘটনায় একমাত্র জীবিত সাক্ষী তিনি।
এ সময় প্রধানমন্ত্রী উল্লেখ করেন, বঙ্গবন্ধুর ৭ মার্চের ভাষণ শুনে পাকিস্তানি সেনারা তাদের বইতে লিখেছেন, তারা স্থম্ভিত হয়ে গিয়েছিল, কী করবে বুঝতে পারেনি সেদিন।
বক্তব্যে শেখ হাসিনা বলেন, ১৯৭৫ সালের ১৫ আগস্ট জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানকে সপরিবারে হত্যার মধ্য দিয়ে একটি গোষ্ঠী চেয়েছিল এদেশ থেকে বঙ্গবন্ধুর নাম মুছে ফেলতে। তারা ৭ই মার্চের ভাষণ নিষিদ্ধ করে এবং ‘জয় বাংলা’ শ্লোগানও নিষিদ্ধ করে।
তারা ইতিহাস থেকে বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবের নাম মুছে দিতে চেয়েছিল জানিয়ে প্রধানমন্ত্রী আরও বলেন, ইতিহাস কখনো মুছে ফেলা যায় না। তারই প্রমাণ জাতিসংঘের ইউনেস্কো কর্তৃক ২০১৭ সালের ৩০ অক্টোবর এ ভাষণকে ‘বিশ্ব প্রামাণ্য ঐতিহ্য’ হিসেবে স্বীকৃতি। শুধু তাই নয়, ইউনেস্কো মনে করে এ ভাষণটির মাধ্যমে জাতির পিতাই প্রকারান্তরে বাংলাদেশের স্বাধীনতা ঘোষণা করেছিলেন।
/এমএইচ
Leave a reply