সৌদির সঙ্গে মিল রেখে সোমবার যেসব এলাকায় রোজা

|

যদিও রোববার (১০ মার্চ) বাংলাদেশের আকাশে কোথাও মাহে রমজানের চাঁদ দেখা যায়নি। তবু সৌদি আরবের সঙ্গে মিল রেখে বাংলাদেশের কিছু গ্রামে আগামীকাল সোমবার (১১ মার্চ) থেকে রোজা শুরুর কথা রয়েছে।

ভিন্ন মাজহাবের অনুসারীদের মতে, বৈজ্ঞানিক দৃষ্টিকোণ থেকে চাঁদের অবস্থান জেনে এবং সৌদি আরবসহ বেশ কয়েকটি দেশে চাঁদ দেখার খবর পেয়ে রোজা পালন করে থাকেন তারা। সে অনুযায়ী রোববার এশার পর তারাবির নামাজ পড়বেন এবং সেহরি খাবেন মৌলভীবাজার, চাঁদপুর, চট্টগ্রাম, বরিশালসহ বেশ কিছু গ্রামের মানুষ।

রোজা পালন করবেন চাঁদপুরের হাজীগঞ্জ উপজেলার বলাখাল, শ্রীপুর, মনিহার, বরকুল, অলীপুর, বেলচোঁ, রাজারগাঁও, জাকনি, কালচোঁ, মেনাপুর, ফরিদগঞ্জ উপজেলার শাচনমেঘ, খিলা, উভারামপুর, পাইকপাড়া, বিঘা, উটতলী, বালিথুবা, শোল্লা, রূপসা, বাশারা, গোয়ালভাওর, কড়ইতলী, নয়ারহাট, মতলবের মহনপুর, এখলাসপুর, দশানী, নায়েরগাঁও, বেলতলীসহ কচুয়া ও শাহরাস্তির বেশ কয়েকটি গ্রামের মানুষ।

চাঁদপুরের হাজীগঞ্জ উপজেলার সাদ্রা দরবার শরীফের পীর মরহুম মাওলানা ইসহাকের (রহ.) অনুসারীরা বিগত ১৯২৮ সাল থেকে সৌদি আরবসহ মধ্যপ্রাচ্যের সঙ্গে মিল রেখে রমজান ও দুটি ঈদ পালন করে আসছেন।

চট্টগ্রামের আনোয়ারা, বাঁশখালী, পটিয়াসহ বিভিন্ন স্থানে শতাধিক গ্রামে সোমবার থেকে রোজা শুরু হচ্ছে। সাতকানিয়া উপজেলার মির্জাখীল দরবার শরিফের অনুসারীরা সৌদির নিয়ম মেনে রোজা ও ঈদ করেন। বিশ্বের যেকোনো দেশে চাঁদ দেখার ওপর নির্ভর করে প্রায় ২০০ বছর ধরে ঈদুল ফিতর, ঈদুল আজহা ও চান্দ্র মাসের সঙ্গে সম্পৃক্ত অন্যান্য ধর্মীয় অনুষ্ঠান উদযাপন করে আসছেন তারা।

সুনামগঞ্জের ধর্মপাশা উপজেলার রাধানগর, ধর্মপাশা উত্তরপাড়া, সৈয়দপুর, কান্দাপাড়া, গাছতলা, জামালপুর, দশধরী, রাজনগর, বাহুটিয়াকান্দা, মেউহারী ও মহদীপুর গ্রামে রোজার আমেজ ছড়িয়েছে। এছাড়াও, বরিশালসহ দেশের বিভিন্ন এলাকায়ও শুরু হয়েছে রোজা পালন।

/এএস/এএম


সম্পর্কিত আরও পড়ুন




Leave a reply