অপেক্ষার অবসান ঘটিয়ে বছর ঘুরে আবারও এসেছে ‘মাহে রমজান’। মুসলিম উম্মাহর প্রতি আল্লাহর বিশেষ অনুকম্পার মাস রমজান। তাই এই রমজান মাসে ত্যাগ ও সংযমের চর্চা করে খোদার সন্তুষ্টি অর্জনে সচেষ্ট থাকেন মুসলিম উম্মাহ।
ইংরেজি তারিখ অনুযায়ী, প্রতিবছর রমজান মাস প্রায় ১০ দিন করে এগিয়ে আসে। পৃথিবীর প্রায় অর্ধেকের বেশি অংশে তীব্র গরমে শুরু হয় রোজা এবং শেষ দিকে অনেকটা শীতল আবহাওয়া বিরাজ করে।
সাধারণত গ্রীষ্মকালে দিন অনেক বড় হয় এবং শীতকালে দিনের ব্যাপ্তি কমতে থাকে। যে কারণে রোজার বিধান অনুসারে পৃথিবীর বিভিন্ন দেশে সেহরি থেকে ইফতার পর্যন্ত পানাহার থেকে বিরত থাকার যে রীতি, তা সময়ানুপাতে কম বা বেশি হয়ে থাকে।
যেসব দেশে রোজার সময় সবচেয়ে দীর্ঘ
পৃথিবীর উত্তরের অধিকাংশ দেশে সূর্য অস্ত যায় দেরিতে, তাই রোজা অর্থাৎ পানাহার থেকে বিরত থাকার সময়কাল সেখানেই দীর্ঘ হওয়ার কথা। এখানকার বেশিরভাগ দেশের ক্ষেত্রে মাসের শেষের দিকে রোজার সময়কাল দীর্ঘায়িত হবে।
নরডিক দেশ গ্রিনল্যান্ডে এ বছর সবচেয়ে দীর্ঘ সময় রোজা থাকবেন রোজাদাররা। গড়ে প্রায় ১৭ ঘণ্টা ৫২ মিনিট রোজা রাখতে হবে দেশটির মুসলিমদের। আরও দুটি নরডিক দেশ অর্থাৎ আইসল্যান্ড ও ফিনল্যান্ডে গড়ে প্রায় রোজা রাখতে হবে ১৭ ঘণ্টা ২৫ মিনিট এবং ১৭ ঘণ্টা ৯ মিনিট। সুইডেনের মুসলিমরা রোজা রাখবেন ১৬ ঘণ্টা ৪৭ মিনিট। এছাড়া, ইউরোপের দেশ স্কটল্যান্ডে প্রতিদিন গড়ে ১৬ ঘণ্টা ৭ মিনিট রোজা রাখতে হবে।
যে দেশগুলোতে সবচেয়ে কম সময় হবে রোজা
অন্যদিকে, সূর্যাস্ত খানিকটা আগে হওয়ার কারণে পৃথিবীর দক্ষিণাঞ্চলের দেশগুলোতে রোজা রাখার সময় হয় সবচেয়ে কম। উত্তরের দেশগুলোর বিপরীতে দক্ষিণের দেশগুলোতে রমজানের শেষ দিনটি হবে সবচেয়ে সংক্ষিপ্ত।
এবারের রমজানে নিউজিল্যান্ডে রোজা রাখার সময় হবে সবচেয়ে কম। সেখানকার মুসলিমরা গড়ে প্রতিদিন ১২ ঘণ্টা ৪২ মিনিট রোজা রাখবে। ল্যাতিন দেশ চিলির মুসলিমদের এক মিনিট বেশি (১২ ঘণ্টা ৪৩ মিনিট) পানাহার থেকে বিরত থাকতে হবে। এছাড়া, অস্ট্রেলিয়ায় ১২ ঘণ্টা ৪৬ মিনিট এবং উরুগুয়েতে ১২ ঘন্টা, ৪৭ মিনিট রোজা রাখতে হবে। দক্ষিণ আফ্রিকার মুসলিমরা গড়ে রোজা রাখবে ১২ ঘন্টা, ৪৮ মিনিট।
সূত্র: খালিজ টাইমস
/এএম
Leave a reply