ব্যান্ড সংগীতের কিংবদন্তি শিল্পী আইয়ুব বাচ্চু মারা গেছেন। ইন্না লিল্লাহি ওয়া ইন্না ইলাইহি রাজিউন।
বৃহস্পতিবার সকালে বাসা থেকে রাজধানীর স্কয়ার হাসপাতালে মুমূর্ষু অবস্থায় নেয়া হয় তাকে। এরপর হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ আনুষ্ঠানিকভাবে সকাল নয়টা ৫৫ মিনিটে তার মারা যাওয়ার খবর নিশ্চিত করেন। হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ জানায়, হৃদযন্ত্রের ক্রিয়া বন্ধ হয়ে মারা গেছেন আইয়ুব বাচ্চু। মৃত্যুকালে বাচ্চুর বয়স হয়েছিল ৫৬ বছর।
সকাল পৌনে নয়টার দিকে অচেতন হয়ে পড়লে গাড়িচালক তাকে নিয়ে আসেন স্কয়ার হাসপাতালে। চিকিৎসকরা জানান, নয়টা ৪০ মিনিটের দিকে হাসপাতালের ইমার্জেন্সি বিভাগে নিয়ে আসা হয় তাকে। তবে, পথেই মারা যান কিংবদন্তী এই সঙ্গীতশিল্পী।
তারপরও চিকিৎসকরা শেষ চেষ্টা করেন। পরে, সকাল নয়টা ৫৫ মিনিটে আইয়ুব বাচ্চুকে মৃত ঘোষণা করেন করা হয়। দীর্ঘদিন ধরেই হৃদরোগে ভুগছিলেন আইয়ুব বাচ্চু। নিয়মিত চিকিৎসাও নিতেন। এদিকে, শেষ মুহূর্তে প্রিয়শিল্পীকে এক নজর দেখতে স্কয়ার হাসপাতালে ভিড় করেছেন ভক্ত-অনুরাগীরা।
আইয়ুব বাচ্চু ১৯৬২ সালের ১৬ আগস্ট তৎকালীন পূর্ব পাকিস্তানের চট্টগ্রাম জেলায় জন্মগ্রহণ করেন।
তিনি একাধারে গায়ক, লিডগিটারিস্ট, গীতিকার, সুরকার, প্লেব্যাক শিল্পী ছিলেন। এল আর বি ব্যান্ড দলের লিড গিটারিস্ট এবং ভোকাল বাচ্চু বাংলাদেশের ব্যান্ড জগতের সবচেয়ে জনপ্রিয় ও সম্মানিত ব্যক্তিত্বদের একজন ছিলেন।
এর আগে তিনি দশ বছর সোলস ব্যান্ডের সাথে লিড গিটারিস্ট হিসেবে যুক্ত ছিলেন। সঙ্গীতজগতে তার যাত্রা শুরু হয় ফিলিংসের মাধ্যমে ১৯৭৮ সালে। তার কন্ঠ দেয়া প্রথম গান “হারানো বিকেলের গল্প”। গানটির কথা লিখেছিলেন শহীদ মাহমুদ জঙ্গী। এর মাঝেই ১৯৮৬ সালে প্রকাশিত হয় তার প্রথম অ্যালবাম ‘রক্তগোলাপ’। দু’বছর পর ময়না অ্যালবাম হিট হয়।
অত্যন্ত গুণী এই শিল্পী তাঁর শ্রোতা-ভক্তদের কাছে এবি (AB) নামেও পরিচিত। তার ডাক নাম রবিন। ১৯৯১ সালে বাচ্চু এল আর বি ব্যান্ড গঠন করেন। এই ব্যান্ডের সাথে তার প্রথম ব্যান্ড অ্যালবাম এল আর বি প্রকাশিত হয় ১৯৯২ সালে।
“অনন্ত প্রেম তুমি দাও আমাকে” বাংলা ছবির অন্যতম একটি জনপ্রিয় গান। এটি তার গাওয়া প্রথম চলচ্চিত্রের গান। বাচ্চুর গাওয়া- শেষ চিঠি কেমন এমন চিঠি, ঘুম ভাঙ্গা শহরে, হকার, চলো বদলে যাই, রূপালি গিটার, গতকাল রাতে, আমি কষ্ট পেতে ভালোবাসি, অবাক হৃদয়, আমিও মানুষ গানগুলো ভক্তদের মনে জায়গা করে নিয়েছে।
Leave a reply