বছর ঘুরে আবার এলো রমজান। ফলে পাল্টে গেছে দিনের রুটিন। সেহরি, ইফতারি ও তারাবি— এই তিন সময়ে স্বভাবতই বেড়েছে বিদ্যুতের ব্যবহার। পাশাপাশি ঈদ উপলক্ষ্যে দোকানপাট ও শপিং মলেও বাড়বে বিদ্যুতের চাহিদা।
বিদ্যুৎ বিভাগ বলছে, এবার রোজায় দৈনিক চাহিদা সাড়ে ১৭ হাজার মেগাওয়াট ছাড়াতে পারে। এ সময় বিদ্যুৎ পরিস্থিতি স্বাভাবিক থাকবে কি না, এমন প্রশ্নের জবাবে বিদ্যুৎ, জ্বালানি ও খনিজসম্পদ প্রতিমন্ত্রী নসরুল হামিদ বলেন, চাহিদা অনুযায়ী আমরা প্রস্তুতি নিয়েছি। নিরবচ্ছিন্ন জ্বালানি সরবরাহ থাকলে সমস্যা হবে না।
এদিকে, দোকানপাট কাগজে-কলমে রাত ৮টা পর্যন্ত খোলা রাখার কথা থাকলেও বাস্তবে চলছে ১০টা পর্যন্ত। তাই হিসাবের চেয়ে বিদ্যুতের কিছুটা বাড়তি ব্যবহার তো হচ্ছেই।
এছাড়া, মার্চের শুরুতে প্রজ্ঞাপন হলেও ফেব্রুয়ারি থেকেই বিদ্যুতের বাড়তি দাম কার্যকর করেছে সরকার। এপ্রিলের শুরুতেও দাম আরেক দফা বাড়বে কি না? জবাবে নসরুল হামিদ বলেন, কিছুদিন পরপরই বিদ্যুতের দামের সমন্বয় করবো। আমরা সমন্বয়টা যথার্থ করতে চাই।
আর প্রতি মাসের শুরুতেই জ্বালানি তথা ডিজেল, কেরোসিন, পেট্রোল ও অকটেনের নতুন দাম কার্যকর হবে বলে জানান তিনি। এ বিষয়ে তার বক্তব্য, সরকার ভর্তুকি থেকে বের হতে চায়। ডলারের যে পার্থক্যটা হয়েছে তা সমন্বয় করতে চায়।
জ্বালানির পাশাপাশি বিদ্যুৎ ব্যবহারেও জনগণকে সাশ্রয়ী হওয়ার অনুরোধ জানিয়েছে মন্ত্রণালয়।
/এমএন
Leave a reply