শুরু হয়েছে পবিত্র রমজান মাস। এরইমধ্যে ঘরে ঘরে শুরু হয়ে গেছে ঈদের প্রস্তুতি। এবার, ঈদের কাছাকাছি সময় বাংলা নববর্ষ থাকায় পোশাকের রঙেও দেখা গেছে সেই প্রভাব। বিষয়টি মাথায় রেখে নতুন কালেকশন আর ভিন্ন আঙ্গিকে সেজে উঠছে বিভিন্ন ব্র্যান্ড ও দেশীয় ফ্যাশন হাউসগুলো।
ঈদের বাকি এখনও প্রায় এক মাস। তবে, এবার ঈদের আগেই টের পাওয়া যাচ্ছে গরমের আঁচ। তাই, ফ্যাশনের পাশাপাশি ডিজাইন ও ফেব্রিকের ক্ষেত্রে গুরুত্ব দেয়া হচ্ছে আরামের বিষয়টিতেও।
সরেজমিন দেখা যায়, আবহাওয়ার কথা মাথায় রেখে আরামদায়ক কাপড়ের দিকেই ঝুঁকছেন ক্রেতারা। তবে- এবার বিশেষ কোনো ট্রেন্ড নেই, স্বাধীনভাবেই পোশাক নির্বাচন করছেন সব বয়সীরা।
কে-ক্রাফটের আউটলেট ম্যানেজার মোজহান ইসলাম যমুনা নিউজকে জানিয়েছেন, ঈদের পাশাপাশি নববর্ষের বিষয়টি মাথায় রেখেই পোশাক আনছেন তারা। বললেন, সুতি কাপড়ের উপর প্রাধান্য দেয়া হচ্ছে। এছাড়া, দেশীয় পণ্য আর দেশীয় ডিজাইনের ওপরেও প্রাধান্য দিচ্ছেন তারা। কারণ হিসেবে উল্লেখ করেন, গরমে সবাই হালকা ও আরামদায়ক কাপড় পছন্দ করে।
এদিকে, বসন্তের আমেজ শেষ হতে না হতেই আসছে ঈদ। প্রায় একই সময়ে উৎসবের আমেজ নিয়ে হাজির হবে বাংলা নববর্ষ। তাই ব্র্যান্ডগুলোর পোশাক কালেকশনেও এসেছে ভিন্নতার ছোঁয়া।
‘হুর’র শপ অপারেশন ম্যানেজার মো. রাজিব হোসেন জানান, গত দুই বছর নববর্ষ সেভাবে উদযাপন করা হয়নি। এবার সবাই উদযাপন করবে। এদিকটা মাথায় রেখেই পণ্য আনছেন তারা।
তবে, এখন ট্রেন্ড মেনে চলার বদলে অনেকটা স্বাধীনভাবেই পোশাক নির্বাচন করেন নারী-পুুরুষ সকলে। আবহাওয়া ও উৎসব মাথায় রেখে এবার লাল, অফ হোয়াইট ও উজ্জ্বল রঙের দিকেই ঝুঁকছেন সব বয়সের মানুষ। ‘বিবিয়ানা’র ডিজাইনার ও ম্যানেজিং ডিরেক্টর লিপি খন্দকারও বললেন একই কথা।
তিনি জানান, এবার টিপিক্যাল কোনো ডিজাইনের দিকে ঝুঁকছেন না তারা। ঈদের পাশাপাশি নববর্ষ হওয়ায় অফ হোয়াইটের মধ্যে ব্রাইট কালারের ফ্লোরাল প্রিন্টের পোশাক আনছেন তারা। যাতে, ঈদের পাশাপাশি বৈশাখের জন্যও ক্রেতারা এসব পোশাক নিতে পারেন। তবে, ঈদের এখনও ঢের বাকি। তাই, ক্রেতাদের রুচি ও চাহিদা অনুযায়ী আরও নতুন নতুন কালেকশনে সেজে উঠবে ফ্যাশন হাউসগুলো।
/এমএইচ
Leave a reply