নাগরিকত্ব সংশোধনী আইনের সমালোচনায় বিজয়-কমল

|

বিতর্কিত নাগরিকত্ব সংশোধনী আইন (সিএএ) কার্যকরের পরপরই ভারতজুড়ে চলছে তোলপাড়। গত সোমবার, আইন কার্যকরের দিন সন্ধ্যায় বিক্ষোভ হয় তামিলনাড়ু ও কেরালায়। এরপর মঙ্গলবার বিক্ষোভ হয়েছে আসামে।

আইনটি কার্যকরের প্রতিবাদে পশ্চিমবঙ্গে বুধবার (১৩ মার্চ) বিক্ষোভের ডাক দিয়েছে তৃণমূল কংগ্রেস। সেই সাথে সিএএ’র বিরোধিতায় মুখ খুললেন দক্ষিণী সিনেমার দুই তারকা থালাপতি বিজয় ও কমল হাসান। এক প্রতিবেদনে ভারতীয় সংবাদ মাধ্যম দ্য ইকোনমিক টাইমস এ তথ্য জানায়।

প্রতিবেদনে বলা হয়, মঙ্গলবার তামিলনাড়ু সরকারকে চিঠি লিখেছেন থালাপতি বিজয়। তিনি লিখেছেন, এটা মানা সম্ভব নয়। সিএএ’র মতো কোনও আইন আমাদের রাজ্যে প্রয়োগ করতে দেওয়া হবে না। আমরা এটা মানব না।

চিঠিতে বিজয় আরও লিখেন, যেখানে দেশের সমস্ত নাগরিক ভালোবেসে একে অপরের সঙ্গে বসবাস করেন, সেখানে এই আইন বেমানান। আমরা নিশ্চিত করব যেন তামিলনাড়ুতে এই আইন লাগু করা না হয়।

অন্যদিকে কামাল হাসান এক বিবৃতিতে জানান, ভারতকে ভাগ করার ষড়যন্ত্র সিএএ। যদি আমরা বিশ্বাস করি এই দাবি সংখ্যালঘুদের সুরক্ষা দেওয়া, তাহলে কেন শ্রীলঙ্কার তামিলদের এই তালিকায় যোগ করা হল না?

তিনি আরও বলেন, দুর্ভাগ্যবশত, এই আইনটি, যা তাড়াহুড়ো করে পেশ করা হয়েছিল এবং এখন একটি জাতীয় নির্বাচনের ঠিক আগ মুহূর্তে প্রয়োগ করা হচ্ছে, এটি বিজেপির ঘৃণ্য পরিকল্পনাগুলোকে স্পষ্ট করে তোলে।

উল্লেখ্য, সোমবার, ভারতের কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয় জানায়, সিএএ কার্যকর হয়েছে। যদিও এই আইন চার বছর আগে পাস করেছিল শাসক দল বিজেপি। তবে কার্যকর করতে পারেনি।

আইন অনুসারে, ২০১৪ সালের ৩১ ডিসেম্বরের মধ্যে বাংলাদেশ, পাকিস্তান ও আফগানিস্তান থেকে যেসব বৌদ্ধ, খ্রিষ্টান, হিন্দু, শিখ, পার্সি ও জৈনধর্মীয় সংখ্যালঘু সাম্প্রদায়িক নির্যাতন ও নিপীড়নের কারণে ভারতে এসেছেন, তাদের নাগরিকত্ব দেওয়া হবে।

তবে বিতর্কিত আইনে এটা উল্লেখ করা হয়নি, ভারতে যাওয়া মুসলমানরা নাগরিকত্ব পাবেন কি না। ফলে আইনটি পাসের পরপরই সমালোচনা শুরু হয়। সমালোচকদের দাবি, মুসলিমদের বিতাড়িত করতেই আইনটি করা হয়েছে।

/এআই


সম্পর্কিত আরও পড়ুন




Leave a reply