নতুন করে বিদ্যুতের দাম বৃদ্ধির ফলে গ্রাহকপ্রতি খরচ বাড়বে প্রায় ১০ শতাংশ। মুদ্রার হিসাবে যা প্রায় ১১৮ টাকা। কিন্তু চুক্তিভিত্তিক কেন্দ্রের ক্যাপাসিটি চার্জ বাদ দিলে এই দর বৃদ্ধি দরকারই হতো না বলে মত দিয়েছে গবেষণা সংস্থা সেন্টার ফর পলিসি ডায়ালগ (সিপিডি)।
বুধবার (১৩ মার্চ) সকালে ‘সাম্প্রতিক বিদ্যুতের মূল্যবৃদ্ধি: ভর্তুকি সমন্বয়ের অন্য বিকল্প আছে কী’ শীর্ষক সংলাপের আয়োজন করে সংস্থাটি। তাতে এমন মত দেয়া হয়।
গত ২৯ ফেব্রুয়ারি খুচরা ও পাইকারি পর্যায়ে বিদ্যুতের দাম বৃদ্ধির প্রজ্ঞাপন জারি করে সরকার। যা কার্যকর হবে ফেব্রুয়ারি থেকেই। তাতে এক বছরের মাথায় দেশে বিদ্যুতের দাম বাড়লো আবারও। বলা হচ্ছে, ভর্তুকি কমাতে আইএমএফের পরামর্শের কারণেই এই সিদ্ধান্ত। সাথে উৎপাদন খরচ বাড়ায় খুচরা পর্যায়ে এক লাফে সাড়ে ৮ শতাংশ দাম বাড়ায় সরকার।
সিপিডির গবেষণা পরিচালক ড. খন্দকার গোলাম মোয়াজ্জেম বলেন, ভর্তুকি সমন্বয়ের জন্য বিদ্যুতের দাম বাড়ানো উচিত হয়নি। অর্থনীতিতে এর নেতিবাচক প্রভাব পড়ছে। বরং সরকার ক্যাপাসিটি চার্জের নামে যে ব্যয় করছে সেটি নিয়ে নতুন সিদ্ধান্ত দরকার ছিল। যে হারে বিদ্যুতের চাহিদা বাড়ছে, এর চেয়ে বেশি হারে ক্যাপাসিটি চার্জ বাড়ানো হচ্ছে।
বাংলাদেশ এনার্জি রেগুলেটরি কমিশনকে (বিইআরসি) পাশ কাটিয়ে প্রশাসনিক সিদ্ধান্তে বিদ্যুতের দাম বৃদ্ধির সমালোচনা করে সিপিডি। তারা বলছে, বিদ্যুতের এই দাম বৃদ্ধির ফলে সরকারের ২ হাজার ৬৫০ কোটি টাকা সাশ্রয় হবে। কিন্তু শেষ পর্যন্ত প্রতি ইউনিটের দাম ১২ টাকা ১১ পয়সা থাকবে কি না, তা নিয়েও সন্দেহ প্রকাশ করেন ড. খন্দকার গোলাম মোয়াজ্জেম।
/এমএন
Leave a reply