মুনাফাখোরদের যুগে রোজার ‘বার্তাবাহক’ জুয়েল

|

দেশজুড়ে যখন দ্রব্যমূল্যের ঊর্ধ্বগতির কারণে সাধারণ মানুষের নাভিশ্বাস অবস্থা, সেখানে শাহাদাত হোসেন জুয়েলের ব্যতিক্রমী উদ্যোগ হাসি ফোটাচ্ছে নিম্নবিত্ত মানুষের মুখে।

রমজান মাসে তিনি নিম্ন আয়ের মানুষের কথা চিন্তা করে দিচ্ছেন বিশেষ সুযোগ। এখানে ১০০ গ্রাম গরুর মাংস পাওয়া যাচ্ছে ৮৫ টাকায়। কেউ চাইলে একপিস মাংসও কিনতে পারবেন, সেক্ষেত্রে দাম পড়বে প্রতি পিস ৩৫ টাকা। একই দোকানে পিস হিসেবে বিক্রি করা হচ্ছে পাঙ্গাস ও তেলাপিয়া মাছ। পিস হিসেবে দাম পড়ছে ১৫ ও ১৮ টাকা।

শাহাদাত হোসেন জুয়েল বলেন, যদি ক্রেতার সুযোগ-সুবিধামতো পরিমানে অল্প বিক্রি করা যায়, তাহলে মানুষ অন্তত খেয়ে তার তৃপ্তিটা মেটাতে পারবে। বড় একটা ইলিশ কিনতে গেলে ১ হাজারের মতো দাম পড়ে। কিন্তু এটাই যদি পিস পিস আকারে বিক্রি হতো, সাধারণ মানুষের জন্য ভালো হতো। একই কথা প্রযোজ্য গরুর মাংসের বেলায়ও। আমি মানুষের কথা ভেবে এই উদ্যোগ নিয়েছি।

শুধু মাছ-মাংস নয়, সারাদিন রোজার পর পানি পানেও দিচ্ছেন বিশেষ সুবিধা। প্রতি বোতল পানির দাম রাখছেন ১০ টাকা দরে। রমজানের ফজিলত চিন্তা করে পানির বোতলে কোনো লাভ রাখছেন না তিনি।

দোকানদার জুয়েল বলেন, রমজান মাসে মানুষ যাতে অল্প মূল্যে পানি কিনতে পারে, সে কথা ভেবে আমি পানির দাম ১০ টাকা রাখছি। একারণে পানি অনেক বেশি বিক্রি হচ্ছে। কম লাভ হলেও মানুষের সুবিধার কথা ভেবে আমি খুশি।

জুয়েলের এই উদ্যোগ হাসি ফুটিয়েছে পুরো এলাকার নিম্ন আয়ের মানুষের কাছে। একজন বলেন, আমার কাছে আছে পঞ্চাশ টাকা। আমি তো তখন একশ টাকার জিনিস কিনতে পারব না। আমি তখন পঞ্চাশ টাকা দিয়ে দুতিনটা মাছ নিয়ে যেতে পারি। আরেকজন বলেন, আমার গরুর মাংস খেতে মন চেয়েছে। আমি পঞ্চাশ টাকার মাংস কিনলে কিন্তু এক ওয়াক্ত খেতে পারব। এই উদ্যোগের জন্য তাই তাকে ধন্যবাদ জানাই।

সীমিত ক্ষমতা থাকলেও আগামীতে এই উদ্যোগ অব্যাহত রাখতে চান জুয়েল। রমজান আসে ত্যাগ ও শান্তির পয়গাম নিয়ে। সেই বিধানমতো চলতে পারলেই আল্লাহ তার দোয়া কবুল করবেন বলেও আশা জুয়েলের।

/এএম


সম্পর্কিত আরও পড়ুন




Leave a reply