স্টাফ করেসপনডেন্ট, রংপুর:
জীবনের বড় অংশ একসাথে কাটানোর পর মৃত্যুটাও যেন একসাথেই হয়, এমন ইচ্ছে ছিল আজগর আলী (৭৮) ও তহিদা বেগম (৭০) দম্পতির। একসাথে মৃত্যু না হলেও একই দিনে মারা গেলেন তারা।
রংপুরের বদরগঞ্জ উপজেলায় স্বামী আজগর আলীর (৭৫) মৃত্যুর ১২ ঘণ্টার ব্যবধানে মারা যান তার স্ত্রী তহিদা বেগমও। বৃহস্পতিবার (১৪ মার্চ) উপজেলার দামোদারপুর চম্পাতলি ইন্দিরার পাড় এলাকায় এ ঘটনা ঘটে।
এ দম্পতির পুত্র লাভলু মিয়া বলেন, বাবা-মা সব সময় বলতো যেন তারা একসাথে মারা যায়। আল্লাহ তাদের মনের ইচ্ছা পূরণ করেছে। কিন্তু আমরা এতিম হয়ে গেছি।
পরিবারের বরাতে দামোদারপুর ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান শেখ আবু বকর সিদ্দিক জানান, ইউনিয়নের ইন্দিরার পাড় গ্রামে এই দম্পতি বসবাস করতেন। বুধবার দিবাগত রাতে সেহরির পর ঘুমিয়ে পড়েন আজগর আলী। পরে বৃহস্পতিবার সকাল ৮টা পর্যন্ত ঘুম থেকে না উঠায় তাকে ডেকে তোলার চেষ্টা করেন স্ত্রী তহিদা। এ সময় সাড়াশব্দ না পাওয়ায় কান্নাকাটি করতে থাকেন তিনি। পরে বাড়ির অন্যান্যরা এসে দেখেন আজগার আলী মারা গেছেন। পরবর্তীতে বাদ জোহর পারিবারিক কবরস্থানে আজগর আলীকে দাফন করা হয়।
তিনি আরও জানান, স্বামীর মৃত্যুর পর থেকেই শোকে মূহ্যমান হয়ে পড়েন স্ত্রী তহিদা। একপর্যায়ে বৃহস্পতিবার রাত ৮ টার দিকে হঠাৎ করে বাড়িতে অচেতন হয়ে পড়েন তহিদা। এরপর তিনি মৃত্যুবরণ করেন। পরে বৃহস্পতিবার মধ্যরাতে তাকে স্বামীর কবরের পাশে দাফন করা হয়।
স্থানীয় চম্পাতলি উচ্চ বিদ্যালয়ের শিক্ষক দুলাল চন্দ্র জানান, একইদিনে ১২ ঘণ্টার ব্যবধানে স্বামী-স্ত্রীর মৃত্যুর ঘটনাটি এলাকায় বেশ আলোচিত হচ্ছে। তারা নিজেরাও একসাথে মৃত্যুর কামনা করেছিলেন বলে শোনা যাচ্ছে।
/আরএইচ/এমএন
Leave a reply