ওয়ানডেতে উইকেটের সেঞ্চুরি তাসকিনের

|

ফাইল ছবি

মিরপুরে ভারতের বিপক্ষে ২০১৪ সালে ওয়ানডে অভিষেক হয়েছিল তাসকিন আহমেদের। ওই ম্যাচেই ৮ ওভারে ২৮ রান দিয়ে তুলে নিয়েছিলেন ৫ উইকেট। যা, ভারতের জন্য ছিল বড় চমক। সেই তাসকিনই আন্তর্জাতিক ওয়ানডেতে তুলে নিয়েছেন ১০০ উইকেট। বাংলাদেশ দলের পেস আক্রমণের অন্যতম ভরসা তাসকিন দেশের অষ্টম বোলার হিসেবে এই কীর্তি গড়লেন।

শুক্রবার (১৫ মার্চ) চট্টগ্রামের জহুর আহমেদ চৌধুরী স্টেডিয়ামে লঙ্কান সিরিজের দ্বিতীয় ম্যাচে চারিথ আসালাঙ্কাকে আউট করে উইকেটের সেঞ্চুুরি পূর্ণ করেন তাসকিন। এই কীর্তি গড়তে তার লেগেছে ৭২ ম্যাচ। 

এর আগে, ৯৮ উইকেট নিয়ে খেলতে নামে তাসকিন। ইনিংসে বল করে এসে প্রথম বলেই কুশাল মেন্ডিসকে ‍উইকেটরক্ষক মুশফিকুর রহিমের গ্লাবসবন্দি করে ৯৯ উইকেটে পৌঁছান এই পেসার। এরপরই ছিল শুধুই অপেক্ষা। তবে সপ্তম ওভারের শেষ বলে আসালাঙ্কাকে ফিরিয়ে পৌঁছেন যান কাঙ্ক্ষিত শততম উইকেটের মাইলফলকে। যদিও তার এই উইকেট পাওয়ার জন্য রিভিউয়ের প্রয়োজন পড়েছিল। আসালাঙ্কার বলটি ব্যাটের কানা ছুঁয়ে মুশফিকের হাতে যায়। আউটের আবেদন করলেও এতে সাড়া দেননি আম্পায়ার মাসুদুর রহমান মুকুল। তবে অধিনায়ক শান্ত রিভিউ নেন। আর তাতেই সেঞ্চুরি বঞ্চিত হন লঙ্কান ব্যাটার আসালাঙ্কা। তিনি ফেরেন ৯১ করে।

সিরিজের প্রথম ওয়ানডেতে সফরকারী লঙ্কানদের বিপক্ষে ৬০ রানে ৩ উইকেট নিয়েছিলেন তাসকিন। পারফরম্যান্সের ধারাবাহিকতা অব্যাহত রেখে, দ্বিতীয় ম্যাচেই ১০০ উইকেটের ক্লাবেই নাম লেখালেন বাংলাদেশি এই পেস সেনসেশন।

সবমিলিয়ে এর আগে বাংলাদেশের ৭ বোলার ওয়ানডেতে একশোর বেশি উইকেট শিকার করেছেন। ওডিআইতে সর্বোচ্চ উইকেট সাকিব আল হাসানের দখলে। এই বাঁহাতি অলরাউন্ডারের ঝুলিতে ৩১৭ উইকেট। পরের অবস্থানেই ২৬৯ উইকেট নিয়ে মাশরাফি বিন মোর্ত্তজা। আব্দুর রাজ্জাকের ঝুলিতে ২০৭, মোস্তাফিজুর রহমানের ১৬২, রুবেল হোসেনের ১২৯, মোহাম্মদ রফিকের ১১৯ এবং মেহেদি হাসান মিরাজের ১০৩ উইকেট।

/এনকে


সম্পর্কিত আরও পড়ুন




Leave a reply