সারাদেশ ডেস্ক:
ফেসবুকে স্ট্যাটাসে সহকারী প্রক্টর ও সহপাঠীকে দায়ী করে আত্মহত্যা করা জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ের (জবি) শিক্ষার্থী ফাইরুজ সাদাফ অবন্তিকার দাফন সম্পন্ন হয়েছে। শনিবার (১৬ মার্চ) বিকেল ৪টার দিকে কুমিল্লা নগরীর শাসনগাছায় পারিবারিক কবরস্থানে বাবা অধ্যাপক জামাল উদ্দিনের কবরের পাশে তাকে দাফন করা হয়।
এর আগে, বিকেল ৩টার দিকে কুমিল্লা সরকারি কলেজ মাঠে অবন্তিকার প্রথম জানাজা অনুষ্ঠিত হয়। পরে বিকেল পৌনে ৪টার দিকে শাসনগাছা জামে মসজিদের সামনে দ্বিতীয় জানাজা অনুষ্ঠিত হয়। জানাজা শেষে তার দাফন সম্পন্ন হয়।
জানাজার আগে সংক্ষিপ্ত বক্তব্যে জবির আইন বিভাগের সহকারী অধ্যাপক মেফতাহুল হাসান জানান, অবন্তিকা খুবই মেধাবী শিক্ষার্থী ছিল। তাকে হারানোর মধ্য দিয়ে আমরা একটি সম্পদ হারালাম। এ ঘটনায় বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ শক্ত অবস্থানে আছে।
জবির এ শিক্ষার্থীর আত্মহত্যার ঘটনায় গতকাল শুক্রবার মধ্যরাত থেকে উত্তাল হয়ে ওঠে বিশ্ববিদ্যালয় ক্যাম্পাস। ক্ষোভে ফেটে পড়েন সাধারণ শিক্ষার্থীরা। এ ঘটনায় অভিযুক্তদের দ্রুত বিচারের দাবিতে রাতভর ক্যাম্পাসে টায়ার জ্বালিয়ে বিক্ষোভ করেন তারা। পরে আন্দোলনরত শিক্ষার্থীদের শান্ত করতে ক্যাম্পাসে যান বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য অধ্যাপক সাদেকা হালিম। ইতোমধ্যে এ বিষয়ে আজ ছয়দফা আল্টিমেটামও দিয়েছে সাধারণ শিক্ষার্থীরা।
ঘটনার পর সাময়িক বহিষ্কার করা হয় অভিযুক্ত সহকারী প্রক্টর দ্বীন ইসলাম ও অবন্তিকার সহপাঠী আম্মান সিদ্দিককে। এছাড়া অধিকতর তদন্তের জন্য বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষক সমিতির সভাপতি অধ্যাপক মো. জাকির হোসেনকে আহ্বায়ক করে পাঁচ সদস্য বিশিষ্ট একটি উচ্চ ক্ষমতাসম্পন্ন তদন্ত কমিটি গঠন করা হয়েছে। এই কমিটিকে ৭ দিনের মধ্যে প্রতিবেদন দিতে বলা হয়েছে।
/এমএন
Leave a reply