ইসরায়েলি আগ্রাসনে বিধ্বস্ত গাজায় সবচেয়ে ভুক্তভোগী শিশুরা। তেল আবিবের নির্বিচার বর্বরতায় প্রাণ তো যাচ্ছেই, মানসিকভাবেও বিপর্যস্ত হাজার হাজার শিশু। এক প্রতিবেদনে যুক্তরাষ্ট্রের সংবাদ মাধ্যম এনবিসি নিউজ এ তথ্য জানায়।
প্রতিবেদনে বলা হয়, ইসরায়েলি বাহিনীর হামলায় পুরো গাজা যেন এক বিধ্বস্ত জনপদ। এর মাঝেই ভয় আতঙ্ক নিয়ে বেড়ে উঠছে একটি প্রজন্ম। যারা জানে না এই যুদ্ধের মানে কী? ইহুদিদের বর্বরতায় এখন গাজা যেন মৃত্যু উপত্যকা। অবিরাম বোমা আর গুলি বর্ষণকে সঙ্গী করে বেঁচে থাকা শিশুদের অনেকেই ভুগছেন ট্রমায়।
গাজার অনেক শিশুদের কেউ বাবা হারিয়েছে, কেউ মা। আবার কেউ যুদ্ধের কঠিন সময়ে মানসিকভাবে বিপর্যস্ত। মানসিকভাবে তাদের চাঙা রাখতে ইউনিসেফের উদ্যোগে কাজ করছে বিভিন্ন স্বেচ্ছাসেবী সংগঠন।
যুদ্ধের ভয়বহতা থেকে শিশুদের ভুলিয়ে রাখতে নানা উদ্যোগ নিচ্ছেন স্বেচ্ছাসেবীরা। রঙিন তাবু খাটিয়ে সেখানে তাদের থাকার ব্যবস্থা করা হচ্ছে। নাচ-গান আর ছবি আঁকার পাশাপাশি আয়োজন করা হচ্ছে খেলাধুলারও।
স্বেচ্ছাসেবী ওমর আল-রাকাব বলেছেন, এই কার্যক্রম আমরা চালিয়ে যাবো। শুধু রাফাতে নয়, অন্যান্য আশ্রয় শিবিরেও। বাইরের দেশগুলোতে ম্যাসেজ দিতে চাই, আমাদের বাচ্চাদেরও সুস্থভাবে বাঁচার অধিকার আছে।
এমন উদ্যোগে কিছু সময়ের জন্য হলেও যুদ্ধের ভয়াবহতা ভুলে থাকবে ফিলিস্তিনের শিশুরা বলে মনে করেন স্বেচ্ছাসেবীরা।
বাস্তুচ্যুত ফিলিস্তিনি শিশু মালেক মিকদাদ জানায়, রঙিন তাবুটি খুব পছন্দ হয়েছে তার। সারাজীবন এর ভেতরেই খেলতে চাই। যুদ্ধের কারনে অনেক ক্লান্ত হয়ে পড়েছি। নিজের বাসা, স্কুলে, ক্লাসরুমে আবারও ফিরে যেতে চাই। পড়াশোনা করে ডাক্তার হতে চাই, যাতে ফিলিস্তিনিদের সেবা দিতে পারি।
/এআই
Leave a reply