মেডিকেল প্রতিবেদক:
গাজীপুরের কালিয়াকৈর কোনাপাড়া এলাকায় গ্যাস সিলিন্ডার বিস্ফোরণে দগ্ধ আরিফুল ইসলাম (৩৫) ও মহিদুল (২৪) নামে আরও দুইজনের মৃত্যু হয়েছে। ফলে এ ঘটনায় মৃতের সংখ্যা বেড়ে দাঁড়ালো পাঁচজনে।
রোববার (১৭ মার্চ) ভোর পাঁচটার দিকে আরিফুল ইসলাম এবং সকাল পৌনে সাতটার দিকে মহিদুল শেখ হাসিনা জাতীয় বার্ন ও প্লাস্টিক সার্জারি ইনস্টিটিউটে চিকিৎসাধীন অবস্থায় মারা যান। বিষয়টি নিশ্চিত করেন শেখ হাসিনা জাতীয় বার্ন ও প্লাস্টিক সার্জারি ইনস্টিটিউটের আবাসিক চিকিৎসক ডাঃ তরিকুল ইসলাম।
তিনি জানান, আজ ভোর পাঁচটার দিকে আরিফুল ইসলাম ৭০ শতাংশ দগ্ধ নিয়ে চিকিৎসাধীন অবস্থায় নিবিড় পরিচর্যা কেন্দ্রে (আইসিইউ) মারা যান। অপরদিকে মহিদুল ৯৫ শতাংশ দগ্ধ নিয়ে সকাল পৌনে সাতটার দিকে মারা যান।
ডা. তরিকুল ইসলাম আরও জানান, এই ঘটনায় গত শনিবার সকালে মনসুর আলী, শুক্রবার সকালে সোলাইমান মোল্লা এবং সন্ধ্যার দিকে শিশু তায়েবা মারা যায়। অর্থাৎ, এ পর্যন্ত শিশুসহ পাঁচ জনের মৃত্যু হয়েছে। অন্যান্যদের অবস্থাও আশংকাজনক বলে জানান তিনি।
আরিফুল ইসলাম রাজশাহীর বাঘা থানার এলাইপুর গ্রামের মোঃ আব্দুর রাজ্জাক বিশ্বাসের ছেলে। বর্তমানে কালিয়াকৈরের কোনাপাড়া এলাকায় ভাড়া থাকতো সে। অপরদিকে মোঃ মহিদুল সিরাজগঞ্জের শাহাজাদপুর থানার পূর্ব ভিরাখোলা গ্রামের মোঃ সাবেদ আলী খানের ছেলে ছিলেন।
উল্লেখ্য, গত ১৩ মার্চ ইফতারের আগ মুহূর্তে গাজীপুরের কালিয়াকৈর উপজেলার তেলিরচালা এলাকার একটি বাসায় গ্যাস সিলিন্ডার বিস্ফোরণে নারী-শিশুসহ অন্তত ৪০ জন দগ্ধ হয়। দগ্ধদের মধ্যে ৩২ জনকে শেখ হাসিনা জাতীয় বার্ন ও প্লাস্টিক সার্জারি ইনস্টিটিউটে ভর্তি করা হয়েছিল।
প্রত্যক্ষদর্শীদের সূত্রে জানা যায়, বাড়িটি স্থানীয় কয়েকটি কারখানার শ্রমিকদের কাছে ভাড়া দেয়া হয়েছিল। সেদিন সন্ধ্যা পৌনে ৬টার দিকে নতুন গ্যাস সিলিন্ডারের সংযোগ দেয়ার সময় হঠাৎ আগুন ধরে যায়। এ সময় সিলিন্ডারটি রাস্তায় ছুড়ে ফেলে দেয়া হয়। এতে রাস্তায় থাকা লোকজনও দগ্ধ হয়। দগ্ধদের মধ্যে একই পরিবারের ৫ জন রয়েছেন।
/এমএইচ
Leave a reply