৭ জানুয়ারির ভোটে প্রতিযোগিতা ছিল না, আতঙ্ক ছিল: মার্কিন সংস্থার প্রতিবেদন

|

সাত জানুয়ারি অনুষ্ঠিত দ্বাদশ জাতীয় নির্বাচনে বেশ কিছু কারণে গুণগত মান ক্ষুণ্ন হয়েছে। এসব কারণের মধ্যে রয়েছে- রাষ্ট্র, সরকারি দল এবং বিরোধীদের সহিংসতা, রাজনৈতিক নেতাদের সহিংসতার মনোভাব, নাগরিক স্বাধীনতা সঙ্কোচন, বাকস্বাধীনতার অবনতি। বাংলাদেশের নির্বাচন পর্যবেক্ষণ মূল্যায়ন করে চূড়ান্ত প্রতিবেদনে এমনটিই বলছে— যুক্তরাষ্ট্রের ন্যাশনাল ডেমোক্রেটিক ইনস্টিটিউট (এনডিআই) এবং ইন্টারন্যাশনাল রিপাবলিকান ইনস্টিটিউট (আইআরআই)।

প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, সাত জানুয়ারির নির্বাচনে কার্যকর প্রতিযোগিতা ছিল না। এতে ক্ষমতাসীন দল সুবিধা পেয়েছে। এছাড়া বিরোধীদের দমন করা হয়েছে। যেটিকে ন্যায়সঙ্গত ছিল না বলেও মন্তব্য করা হয়েছে।

এতে আরও বলা হয়, নির্বাচন ঘিরে আইন প্রয়োগকারীদের নামে পক্ষপাতিত্বের অভিযোগ রয়েছে। ভোট নিয়ে দুর্বল জনগোষ্ঠী কিংবা নারীরা আতঙ্কে ছিলেন। এছাড়া বলা হয়, সরকারের রোষানলে পড়ার ভয়ে মিডিয়া স্বেচ্ছা সেন্সরশিপ করেছে।

এ বিষয়ে তাদের টেকনিক্যাল অ্যাসেসমেন্ট মিশন (টিএএম) চূড়ান্ত প্রতিবেদনে বলছে, মিশন সদস্যরা দেখতে পেয়েছেন নির্বাচনের সময়, প্রচারণার সময়, নির্বাচনের দিনসহ অন্য সময়ে আগের নির্বাচনের তুলনায় শারীরিক ও অনলাইন সহিংসতা কম হয়েছে। তারা বলছে, নিরাপত্তার ক্ষেত্রে সরকারের বাড়তি নজর ছিল।

এনডিআইয়ের এশিয়া-প্যাসিফিক অঞ্চলের আঞ্চলিক পরিচালক মনপ্রীত সিং আনন্দ বলেছেন, এই প্রতিবেদন ভবিষ্যতে বাংলাদেশে আরও শান্তিপূর্ণ নির্বাচনের রোডম্যাপ হিসেবে অবদান রাখবে। অহিংস রাজনৈতিক পরিবেশ গড়ে তোলার লক্ষ্যে রাজনৈতিক দল, সরকার এবং নাগরিক সমাজসহ সামাজিক-রাজনৈতিক পরিমণ্ডলে নেতাদের নির্বাচনী রাজনীতির নিয়ম, অনুশীলন ও আইন সংস্কারের প্রয়োজন আছে বলেও মন্তব্য করেন তিনি।

বাংলাদেশের সংসদ নির্বাচনের আগে ৮ থেকে ১১ অক্টোবর আইআরআই এবং এনডিআই একটি প্রাক-নির্বাচন মূল্যায়ন (পিইএএম)সম্পন্ন করে। এই দলের সদস্য ছিলেন, আইআরআইয়ের কো-চেয়ার বনি গ্লিক, এনডিআই কো-চেয়ার ও ইউএসএআইডি’র সাবেক ডেপুটি প্রশাসক কার্ল এফ ইন্টারফারথ, দক্ষিণ এশিয়া বিষয়ক সাবেক সহকারী পররাষ্ট্রমন্ত্রী মারিয়া চিন আবদুল্লাহ, মালয়েশিয়ার প্রতিনিধি পরিষদের সাবেক সদস্য জামিল জাফর, যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্টের সাবেক সহযোগী কাউন্সেল জোহানা কাও, আইআরআই সিনিয়র ডাইরেক্টর এশিয়া প্যাসিফিক বিভাগ মনপ্রীত সিং আনন্দ।

/এনকে


সম্পর্কিত আরও পড়ুন




Leave a reply