সময়টা খুব বড্ড খারাপ যাচ্ছে পাকিস্তানি পেসার শাহিন শাহ আফ্রিদির। এই পেসারের নেতৃত্বেই দুই আসরে শিরোপা জিতেছিল লাহোর কালান্দার্স। তবে এবারের আসরে মুদ্রার উলটো পিঠ দেখলো ফ্র্যাঞ্চাইজিটি। দলের পারফরম্যান্স ছিল না আপ টু দ্যা মার্ক। তাইতো টেবিলের তলানিতে থেকেই আসর থেকে সবার আগে বিদায় নিতে হয়েছে লাহোর কালান্দার্সের। সেই সাথে নিজের নামের প্রতি সুবিচার করতে পারেননি শাহিন আফ্রিদিও।
পিএসএলে প্রথম এলিমিনেটরে আমিরের দল কোয়েটা গ্লাডিয়েটর্স বাদ পড়লেও নজর কেড়েছে তার বোলিং পারফরম্যান্স। ৪ ওভারে মাত্র ২০ রান খরচায় শিকার করেছেন দুই উইকেট। লাইন-লেংথ ধরে রাখার পাশাপাশি গতির মিশেল ছিল আমিরের বোলিংয়ে। তাইতো ম্যাচ চলাকালেই আমিরের বোলিংয়ের প্রশংসায় মাতেন ধারাভাষ্যকার রমিজ রাজা।
সেই ম্যাচের কমেন্ট্রি বক্সে উপস্থিত ছিলেন আরেক পাক কিংবদন্তী ওয়াকার ইউনিস। আমিরের পারফরম্যান্স পর্যবেক্ষণ করার পর শাহিন আফ্রিদিকে আমিরের থেকে শেখার পরামর্শ দেন ওয়াকার। পাকিস্তানের সাবেক এ অধিনায়ক বলেন, আমি আশাকরি শাহিন আফ্রিদিও তার বোলিং দেখছে, কারণ তারও একইভাবে লাইন এবং লেংথ ধরে রেখে বল করা উচিৎ। কারণ নতুন বলে সেভাবে সুইং পাওয়া যায় না, এক জায়গায় বল ফেলে ধারাবাহিক গতি ধরে রাখতে পারলেই কাজ হবে।
পিএসএলে ১০ ম্যাচে মাত্র এক জয় পেয়েছে শাহিনের লাহোর। বল হাতেও নিষ্প্রাণ ছিলেন এই পেসার। ৯ ম্যাচে শিকার করেন ১৪ উইকেট। তবে ওভার প্রতি ৮.৬১ গড়ে রান দিয়ে নাম লিখিয়েছেন খরুচে বোলারের তালিকায়। তাইতো আরেক পাক কিংবদন্তি ওয়াসিম আকরামও সমালোচনা করেছেন শাহিনের।
পাকিস্তানের কিংবদন্তি পেসার ওয়াসিম আকরাম বলেন, আমরা সবাই দেখেছি শাহিনের পারফরম্যান্স। নতুন বল হোক বা শেষ দিকের ওভার, শাহিন হাফভলি করেছে। লেংথের কোনো ঠিক ছিল না। বিশ্বের সব ব্যাটার এখন জেনে গেছে, শাহিন প্রথম দুটো বল ইয়র্কার করে। এটা ওর নিজেরও বোঝা উচিৎ। শেষ দিকের ওভারে হয় স্লোয়ার কাটার করে, নয়তো স্টাম্পের সোজাসুজি বল করে। সবাই এগুলো এখন জেনে গেছে। ব্যাটাররাও সেভাবে প্রস্তুত থাকে।
টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপের আগে শাহিনের এমন পারফরম্যান্স চিন্তার ভাঁজ ফেলেছে পাক ক্রিকেট ভক্তদের। ভক্তদের প্রত্যাশা পুরনো ছন্দে ফিরে আসুক শাহিন আফ্রিদি।
/আরআইএম
Leave a reply