নবজাতকসহ ছাদ থেকে লাফিয়ে মায়ের আত্মহত্যা

|

ব্রাহ্মণবাড়িয়া প্রতিনিধি
ব্রাহ্মণবাড়িয়ায় একটি বেসরকারি ক্লিনিকের ছাদ থেকে লাফিয়ে চারদিনের ছেলে নবজাতকসহ সীমা আক্তার (২৫) নামে এক গৃহবধূ আত্মহত্যা করেছেন। শুক্রবার সকাল সাড়ে ৮ টার দিকে শহরের পুরাতন জেলরোডস্থ দি ল্যাব এইড ডায়াগনস্টিক সেন্টার ও স্পেশালাইজ্ড হাসপাতালে এ ঘটনা ঘটে। নিহত সীমা সদর উপজেলার বাসুদেব ইউনিয়নের ঘাটিয়ারা ফুলচং গ্রামের মনির মিয়ার স্ত্রী। মনির লেবানন প্রবাসী। গত এক বছর আগে পারিবারিকভাবে তাদের বিয়ে হয়।

পুলিশ জানায়, গত ১৬ অক্টোবর বিকেলে প্রসব বেদনা নিয়ে সীমা জেলরোডস্থ লাইফ কেয়ার হাসপাতালের ৩০২ নম্বর বেডে ভর্তি হন সীমা। এদিন সন্ধ্যায় সিজারিয়ান অস্ত্রোপচারের মাধ্যমে ছেলে সন্তানের জন্ম দেন তিনি। শুক্রবার সকালে হাসপাতাল থেকে তাদের ছাড়া পাওয়ার কথা ছিল। কিন্তু সকাল সাড়ে ৮টার দিকে রহস্যজনক কারণে লাইফ কেয়ার হাসপাতালের পার্শ্ববর্তী ল্যাব এইড ডায়াগনস্টিক সেন্টার ও স্পেশালাইজড হাসপাতালের ছাদ থেকে সীমা প্রথমে তার নবজাতককে ছুঁড়ে ফেলে দেয়। এরপর সে নিজেও নিচে লাফিয়ে পড়ে আত্মহত্যা করে।

জসিম মিয়া নামে ঘটনার এক প্রত্যক্ষদর্শী বলেন, আমি ল্যাব এইড হাসপাতালের উল্টো দিকে একটি রেস্টুরেন্ট নাস্তার অর্ডার দিয়ে বসেছিলাম। হঠাৎ দেখি হাসপাতালের ছাদ থেকে এক নারী তার নবজাতককে নিচে ছুঁড়ে ফেলে দেয়। এতে ঘটনাস্থলেই নবজতাকটির মৃত্যু হয়। এরপর ওই নারীও যখন লাফিয়ে পড়ার চেষ্টা করছিল আমরা তখন লাফ দিতে মানা করছিলাম। কিন্তু মিনিট তিনেক পরে ওই নারীও আমাদের কথা না শুনে নিচে লাফিয়ে পড়ে মারা যায়।

ফরিদা খাতুন নামে সীমার পাশের বেডের (৩০৩) এক রোগীর স্বজন বলেন, সারারাত বাচ্চাটি দুধের জন্য কান্নাকাটি করছিল। ওই মেয়ে ফোনে কারো সাথে ঝগড়া করছিল। ফোনে সে বলছিল ‘বাচ্চাকে দুধ দিতে হবে না, সকালে দেখবা আমি কি করি’।

তবে হাসপাতালে উপস্থিত সীমার মা রেহানা বেগম কি কারণে তার মেয়ে নবজাতককে নিয়ে লাফিয়ে পড়েছেন সেটি স্পষ্ট করে বলতে পারেননি।

ব্রাহ্মণবাড়িয়া সদর মডেল থানা পুলিশের ১নং ফাঁড়ির পরিদর্শক (ইন্সপেক্টর) উসমান গণি জানান, স্বামীর সাথে সীমার কোনো বিষয়ে কলহ চলছিলো কিনা সেটি আমরা এখনো জানতে পারিনি। কি কারণে তিনি ছাদ থেকে লাফিয়ে পড়েছেন সেটিও স্পষ্ট নয়।


সম্পর্কিত আরও পড়ুন




Leave a reply