রাজধানীর কারওয়ান বাজারে এলিভেটেড এক্সপ্রেসওয়ের এফডিসি অংশের ডাউন র্যাম্প চলাচলের জন্য খুলে দেয়া হয়েছে। এ প্রসঙ্গে সড়ক পরিবহন ও সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদের বলেছেন, এটা নগরবাসীর জন্য প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার ঈদ উপহার।
আজ বুধবার (২০ মার্চ) সকাল ১১টার দিকে কারওয়ান বাজারে এফডিসি অংশের র্যাম্প উন্মুক্তকরণ অনুষ্ঠানে এ কথা বলেন তিনি।
সেতুমন্ত্রী বলেন, ঢাকা এলিভেটেড এক্সপ্রেসওয়েতে যান চলাচলের সর্বোচ্চ গতিসীমা ঘণ্টায় ৬০ কিলোমিটার। এর চেয়ে বেশি গতিতে যানবাহন চলানো যাবে না। এক্সপ্রেসওয়েতে থ্রি-হুইলার, মোটরসাইকেল, বাইসাইকেল এবং পথচারী চলাচল করতে পারবে না।
ওবায়দুল কাদের আরও বলেন, ঢাকা এলিভেটেড এক্সপ্রেসওয়ের মূল দৈর্ঘ্য ১৯ দশমিক ৭৩ কিলোমিটার। র্যাম্পসহ এর দৈর্ঘ্য দাঁড়াবে ৪৬ দশমিক ৭৩ কিলোমিটার। পুরো কাজ শেষ হলে মোট ৩১টি র্যাম্প দিয়ে এক্সপ্রেসওয়েতে যানবাহন ওঠানামার সুযোগ হবে। বর্তমানে এলিভেটেড এক্সপ্রেসওয়ের মূল অগ্রগতি ৭২ দশমিক ৫১ শতাংশ বলে জানান তিনি।
সেতুমন্ত্রী বলেন, চলতি বছর পুরো এলিভেটেড এক্সপ্রেসওয়ের উদ্বোধন সম্ভব হবে না। আগামী বছরের প্রথম দিকে পুরোটা খুলে দেয়া হবে। কিছুটা সময় নেয়া হচ্ছে। তার আগেও খুলে দেয়া হতে পারে। কাজের গতি নিয়ে প্রশ্ন তোলার অবকাশ নেই বলে জানান তিনি।
এলিভেটেড এক্সপ্রেসওয়ের এফডিসি অংশে নামার সংযোগ সড়ক উদ্বোধন করেছেন সড়ক পরিবহন ও সেতুমন্ত্রী। এই র্যাম্প চালুর ফলে উত্তরা থেকে এলিভেটেড এক্সপ্রেসওয়ে দিয়ে আসা গাড়ি এখন থেকে মগবাজার, হাতিরঝিল ও কারওয়ান বাজার এলাকায় নামতে পারবে।
প্রসঙ্গত, ঢাকা এলিভেটেড এক্সপ্রেসওয়েটির রুট শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরের কাওলা থেকে শুরু হয়ে কুড়িল, বনানী, মহাখালী, তেজগাঁও, মগবাজার, কমলাপুর, সায়েদাবাদ, যাত্রাবাড়ী হয়ে ঢাকা-চট্টগ্রাম মহাসড়কের কুতুবখালী পর্যন্ত।
উদ্বোধনের ছয় মাস পর আজ ১৬তম র্যাম্প হিসেবে এফডিসি অংশটি খুলে দেয়া হলো। এর মাধ্যমে এলিভেটেড এক্সপ্রেসওয়ের দ্বিতীয় অংশ চালুর সূচনা হয়েছে।
/এএম
Leave a reply