ক্রিকেট কিংবা ফুটবল পছন্দের খেলোয়াড়কে ভক্তরা ভালোবেসে অনেক নামেই ডেকে থাকেন। এই যেমন, শচীন টেন্ডুলকারকে (ক্রিকেট গড/মাস্টার ব্লাস্টার), মহেন্দ্র সিং ধোনিকে (ক্যাপ্টেন কুল), ম্যারাডোনাকে (ফুটবল ঈশ্বর), লিওনেল মেসিকে (ক্ষুদে যাদুকর)। ঠিক তেমনই ভিরাট কোহলির নামের আগে ‘কিং’ বা রাজা শব্দটা ব্যবহার করেন তার ভক্তরা। ভক্তদের আর দোষ কী, ২২ গজে কোহলি তো ব্যাট হাতেই রাজত্ব করেন। তাই ভক্ত-সমর্থকরা তাকে ‘কিং কোহলি’ ডাকতেই স্বাচ্ছন্দ্যবোধ করে বেশি। এবার অবশ্য সমর্থকদের ‘কিং কোহলি’ ডাকতে মানা করে দিয়েছেন স্বয়ং কোহলিই!
নারী আইপিএল বা উইমেন্স প্রিমিয়ার লিগে শিরোপা জেতায় গত মঙ্গলবার ঘরের মাঠ বেঙ্গালুরুর এম চিন্নাস্বামী স্টেডিয়ামে সংবর্ধনা দেয়া হয়ে রয়্যাল চ্যালেঞ্জার্স বেঙ্গালুরুর নারী দলকে। সেখানে উপস্থিত ছিলেন বেঙ্গালুরুর পুরুষ দলের ক্রিকেটাররাও।
নারী চ্যাম্পিয়ন দলকে ‘গার্ড অব অনার’ দেয় বেঙ্গালুরুর পুরুষ দল। হাত তালি দিয়ে স্মৃতি মান্ধানার দলকে অভিনন্দন জানান কোহলি, ফাফ ডু প্লেসি, গ্লেন ম্যাক্সওয়েল এবং মোহাম্মদ সিরাজরা। এই অনুষ্ঠানের একটি পর্যায়ে ভক্তদের ‘কিং কোহলি’ ডাকতে মানা করেন বেঙ্গালুরুর সাবেক অধিনায়ক।
দর্শকদের স্লোগান থামিয়ে কোহলি বলেন, আমাদের কিন্তু আজ (মঙ্গলবার) রাতে চেন্নাইয়ে যেতে হবে। বিমান ভাড়া করা আছে, হাতে কিন্তু একদমই সময় নেই (হেসে)। সবার আগে আপনাদের আমাকে ওই নামে (কিং) ডাকা বন্ধ করতে হবে। আমি ফাফকে (ডু প্লেসি) বলেছি আপনারা যখন আমাকে ওই নামে ডাকেন, আমি বিব্রত হই, আমাকে শুধু ভিরাট নামেই ডাকুন।
২০০৮ সালে আইপিএলের প্রথম আসর থেকেই বেঙ্গালুরুতে আছেন কোহলি। ২০১৩ থেকে ২০২১ পর্যন্ত দলটির অধিনায়কও ছিলেন তিনি। এখনও কোনো শিরোপা না জিতলেও আইপিএল ইতিহাসে সবচেয়ে বেশি রান তার। এবার অবশ্য নারী দলের সাফল্যে অনুপ্রাণিত হয়ে শিরোপা জিততে চান তিনি। কোহলি বলেন, এই সাফল্য অসাধারণ। যখন তারা ডব্লিউপিএল জিতল, আমরা দেখছিলাম। আশা করি, আমরা ট্রফি জিতে আনন্দ দ্বিগুণ করতে পারবো, যা সত্যিই বিশেষ কিছু হবে।
ভক্তরা কোহলির কথা শুনবেন কি না কে জানে। ভারতীয় কিংবদন্তি শচীন টেন্ডুলকারও ভক্তদের তাকে ‘ক্রিকেট গড’ না বলার জন্য অনুরোধ করেছিলেন। সেটিতে যে কাজ হয়নি, সেটি তো জানাই।
/আরআইএম
Leave a reply