ভারতের বাঁকুড়ায় চলন্ত বাসে স্ত্রীর প্রেমিককে ছুরিকাঘাত করে খুনের চেষ্টার অভিযোগ উঠেছে এক স্বামীর বিরুদ্ধে। বাধা দিতে গিয়ে আক্রান্ত হয়েছেন স্ত্রীও। মঙ্গলবার (১৯ মার্চ) রাতে পশ্চিমবঙ্গ রাজ্যের মেদিনীপুরের বাঁকুড়ার কেরানিবাঁধ এলাকায় এ ঘটনা ঘটে। খবর আনন্দবাজার পত্রিকার।
আহত স্ত্রী নমিতা ও তার প্রেমিক শেখ ঔরঙ্গজেবকে স্থানীয় এক হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে। অভিযুক্ত স্বামী সৌরভ সিংহকে খুঁজছে পুলিশ।
পুলিশ সূত্রে জানা যায়, ৬ বছর আগে প্রণয় থেকে পরিণয়ে আবদ্ধ হন সৌরভ ও নমিতা। তাদের রয়েছে ৩ বছরের একটি কন্যাসন্তান। গত ২৭ জানুয়ারি মেয়েকে নিয়ে অলকাধাড়া গ্রামের শ্বশুরবাড়ি থেকে নিখোঁজ হন নমিতা। এরপর বীরভূমের বাসিন্দা শেখ ঔরঙ্গজেব নামে এক যুবকের বিরুদ্ধে নমিতাকে অপহরণের অভিযোগ দায়ের করেন নমিতার শাশুড়ি।
ওই মামলার সূত্রে মঙ্গলবার খাতড়া আদালতে আত্মসমর্পণ করেন ঔরঙ্গজেব। আদালতের কাজ সেরে সন্ধ্যায় কেরানিবাঁধ থেকে বাসে ওঠেন ২ জন। তাদের অনুসরণ করে ওই বাসে উঠে পড়েন নমিতার স্বামী সৌরভও। বাস চলতে শুরু করলেই ছুরি নিয়ে ঔরঙ্গজেবের ওপর ঝাঁপিয়ে পড়েন তিনি। এলোপাতাড়ি কোপাতে শুরু করেন যুবককে। স্বামীকে বাধা দেয়ার চেষ্টা করেন নমিতা। তার গায়েও ছুরির আঘাত লাগে। এই দৃশ্য দেখে চিৎকার শুরু করেন আতঙ্কিত যাত্রীরা। চিৎকার শুনে বাস থামিয়ে দেন চালক। সেই সুযোগে বাস থেকে নেমে দৌড় দেন সৌরভ।
ওদিকে, বাস নিয়ে বাঁকুড়া সদর থানার দিকে রওনা দেন বাসচালক। পথে পুলিশ তাকে বাস সম্মিলনী মেডিক্যাল কলেজে নিয়ে যেতে বলে। আপাতত সেখানেই চিকিৎসাধীন নমিতা ও ঔরঙ্গজেব। বাসচালক রঞ্জিত মাহাতো বলেন, আমি বাস চালাচ্ছিলাম। তাই বাসের ভেতরে কী হয়েছে, দেখতে পাইনি। যাত্রীদের চিৎকার শুনে বাস ঘুরিয়ে থানার দিকে যাচ্ছিলাম। এসময় পুলিশ বাসে উঠে আমাকে মেডিক্যাল কলেজে নিয়ে আসে।
বাঁকুড়ার পুলিশ সুপার বৈভব তিওয়ারি জানান, নমিতাকে অপহরণ করা হয়েছে বলে অভিযোগ করা হয়েছিল। তাকে আমরা মঙ্গলবার আদালতে হাজির করি। নমিতা আদালতে জানান, স্বেচ্ছায় ঘর ছেড়েছেন তিনি। স্বামীর সঙ্গে থাকতে চান না। এরপরই তার স্বামী চলন্ত বাসে ছুরি নিয়ে হামলা চালান। অভিযুক্ত সৌরভকে খুঁজছে পুলিশ। ৩ জনকে আটক করে জিজ্ঞাসাবাদ করা হচ্ছে বলে জানান তিনি।
/এএম
Leave a reply