বাউফল (পটুয়াখালী) করেসপনডেন্ট:
পটুয়াখালীর বাউফলে সালিশ বিচারে পক্ষ নিতে রাজি না হওয়ায় হেমায়েত উদ্দিন হিমু নামের একজন আওয়ামী লীগ নেতাকে পিটিয়ে আহত করার অভিযোগ উঠেছে উপজেলা কৃষকদলের নিরব হাওলাদার ও ইউনিয়ন বিএনপি নেতা হুমায়ুন কবিরের বিরুদ্ধে।
মঙ্গলবার (১৯ মার্চ) উপজেলার কালিশুরি ইউনিয়নে এ হামলার ঘটনা ঘটে। আহত আওয়ামী লীগ নেতাকে বাউফল উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ভর্তি করা হয়েছে। এ বিষয়ে আজ বুধবার (২০মার্চ) বাউফল থানায় একটি লিখিত অভিযোগও দায়ের করা হয়েছে।
জানা গেছে, আহত হেমায়েত উদ্দিন হিমু বাউফলের কালিশুরি ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের সাবেক সদস্য ও আসন্ন কমিটির সাধারণ সম্পাদক পদপ্রার্থী। এছাড়া তিনি কালিশুরি মাধ্যমিক বিদ্যালয়ের ম্যানেজিং কমিটির সদস্য এবং পেশায় পাইকারি পোল্ট্রি মুরগী ব্যবসায়ী। অন্যদিকে মূল অভিযুক্ত নিরব হাওলাদার উপজেলা কৃষকদলের আহ্বায়ক কমিটির সদস্য।
ভুক্তভোগী ও পুলিশ সূত্রে জানা গেছে, পারিবারিক বিষয় নিয়ে গত ১৩ মার্চ উপজেলার কালিশুরি ইউনিয়নের ব্যবসায়ী বাবুল হাওলাদারের সাথে অভিযুক্ত হুমায়ুন কবিরের বিরোধের সৃষ্টি হয়। বিরোধের জেড়ে ঘটে হাতাহাতির ঘটনাও। এ ঘটনায় উভয় পক্ষ পুলিশের শরণাপন্ন হলেও সিদ্ধান্ত হয় স্থানীয়ভাবে সালিশের।
ভুক্তভোগীদের দাবির প্রেক্ষিতে স্থানীয় ইউপি চেয়ারম্যান ও আহত হেমায়েত উদ্দিন হিমুসহ পাঁচ ব্যক্তিকে সালিশ মানা হয়। বাকি তিন জন হলেন বাজার কমিটির সভাপতি কালাম খান, সাবেক ইউপি মেম্বার ও বর্তমান ইউপি মেম্বার।
সালিশের পূর্বে অভিযুক্ত নিরব ও হুমায়ুন আহত হেমায়েত উদ্দিন হিমুকে তাদের পক্ষ নেয়ার অনুরোধ জানায়। এতে রাজি না হলে উভয়ের মধ্যে বাকবিতণ্ডার সৃষ্টি হয়। একপর্যায়ে স্থানীয়দের হস্তক্ষেপে পরিস্থিতি শান্ত হয়।
পরে, গতকাল আওয়ামী লীগ নেতা হেমায়েত উদ্দিন হিমু নিজ ব্যবসা প্রতিষ্ঠানের পাওনা টাকা তুলতে বের হলে অভিযুক্ত নিরব ও হুমায়ুন তার ওপরে অতর্কিত হামলা চালায়। এ সময় তাকে লোহার রড দিয়ে পিটিয়ে আহত করা হয়।
অভিযোগ স্বীকার করে নিরব হাওলাদার বলেন, পেটানোর কাজ করেছে দেখেই তাকে পেটানো হয়েছে। আমার সাত বছরের বাচ্চার গলায় যারা চাকু ধরে চেইন ছিনতাই করেছে, তাদের সাথে হিমুর সম্পর্ক। তার নেতৃত্বে সেই ঘটনা ঘটেছে দেখেই তাকে পেটানো হইছে।
এ বিষয়ে বাউফল থানার ওসি শোনীত কুমার গায়েন বলেন, অভিযোগের সত্যতা পেলে তদন্ত সাপেক্ষে আইনগত ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।
/এমএইচ
Leave a reply