কর্মক্ষেত্রে প্রচণ্ড গরম বাড়ায় মৃত সন্তান প্রসবের ঝুঁকি

|

প্রচণ্ড গরমে শসা ক্ষেতে কাজ করা নারী কর্মী সুমাথি। ছবি: বিবিসি

প্রচণ্ড গরমে কাজ করা গর্ভবতী নারীদের মৃত সন্তান প্রসব ও গর্ভপাতের ঝুঁকি বাড়ায়। সম্প্রতি ভারতের এক গবেষণায় উঠে এসেছে এমন তথ্য। বৃহস্পতিবার (২১ মার্চ) গবেষণাটি প্রকাশ করে বিবিসি।

২০১৭ সালে চেন্নাইয়ের শ্রী রামচন্দ্র ইনস্টিটিউট অফ হায়ার এডুকেশন অ্যান্ড রিসার্চ (এসআরআইএইচআর) এই গবেষণা শুরু করে। গবেষণায় অংশ নেন তামিলনাড়ু রাজ্যের আটশ গর্ভবতী নারী। সেই সমীক্ষায় দেখা গেছে, কর্মরত মায়েদের সন্তান জন্মদানে ঝুঁকি আগের তুলনায় অনেক বেশি।

গবেষকরা বলছেন, গ্রীষ্মমন্ডলীয় এলাকার নারীরাই শুধু নয়, যুক্তরাজ্যের মতো দেশের নারীদের জন্য এটা আশঙ্কাজনক। বিশ্বব্যাপী কর্মরত গর্ভবতী নারীদের জন্য সুনির্দিষ্ট স্বাস্থ্য পরীক্ষার পরামর্শ তাদের।

সমীক্ষায় অংশ নেয়া অর্ধেক নারীরা এমন কর্মক্ষেত্রে কাজ করতো, যেখানে উচ্চ মাত্রার তাপ বা প্রচণ্ড গরম থাকতো। যেমন কৃষিকাজ, ইটের ভাটা বা লবণের ফ্যাক্টরি। অন্য নারীরা স্কুল ও হাসপাতালের মতো শীতল পরিবেশে কাজ করতো।

যদিও মানবদেহের জন্য তাপের কোন স্তরকে অত্যধিক গরম বলে বিবেচনা করা যাবে, তা মাপার সার্বজনীন কোনো সীমারেখা নেই।

বিবিসিতে প্রকাশিত ছবি। সেখানে বলা হয়েছে, প্রচণ্ড গরমে কাজ করা নারীদের গর্ভপাতের হার ৫ শতাংশ। প্রিম্যাচিউর সন্তান জন্মের হার ৬ দশমিক ১ শতাংশ। সন্তানের চাহিদার তুলনায় ওজন কম হওয়ার হার ৮ দশমিক ৪ শতাংশ।

গবেষণায় অবদান রাখা বিজ্ঞানীদের একজন অধ্যাপক জেন হার্স্ট। তিনি জানান, সমীক্ষায় অংশ নিয়েছিলেন সুমাথি নামের এক নারী কর্মী। গর্ভাবস্থায় ৩ মাসের মধ্যেই তার সন্তান মারা যায়। আমি তিরুভান্নামালাইয়ের সবুজ মাঠে সুমাথির সঙ্গে দেখা করি। আমার যাওয়ার আগে সুমাথি দুঘন্টা ধরে ক্ষেতের শসা তুলছিল। আমাকে দেখে সে তার ভারী গ্লাভস খুলে তার আঙ্গুল আমাকে দেখায়। সুনামি বলে, ‘এই গরমে আমার হাত জ্বলছে’।

গ্রীষ্ম তখনও শুরু হয়নি কিন্তু সেদিন তাপমাত্রা প্রায় ৩০ ডিগ্রি সেলসিয়াস ছিল এবং আর্দ্রতার কারণে আরও গরম অনুভূত হচ্ছিল। অধ্যাপক জেন হার্স্ট বলেন, আপনার শরীর যেভাবে তাপে অভ্যস্ত, সেটা কি প্রচণ্ড গরমের প্রভাব সম্পর্কে জানে?

/এএম


সম্পর্কিত আরও পড়ুন




Leave a reply