আর্জেন্টাইন বংশোদ্ভূত এসথার কুনিওর কোলে রাখা একটি ‘একে-ফোরটি সেভেন’ রাইফেল। তার পাশে ফিলিস্তিনি পতাকা হাতে দাঁড়িয়ে মুখোশধারী এক ফিলিস্তিনি যোদ্ধা। গেলো কয়েকদিন ধরেই সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে ভাইরাল এই ছবিটি।
বার্তা সংস্থা রয়টার্স জানায়, ছবির বৃদ্ধা মূলত আর্জেন্টাইন বংশোদ্ভূত এক ইসরায়েলি নাগরিক, যিনি ৭ অক্টোবর জিম্মি হয়েছিলেন হামাসের হাতে। জিম্মি থাকাকালীন হামাসের সদস্যরা জানতে পারেন, তিনি ফুটবল তারকা ‘লিওনেল মেসি’র দেশের বাসিন্দা। এরপর তিনিই বনে যান তারকা। বন্দি অবস্থায়ই হামাস যোদ্ধাদের কাছে পান বাড়তি সমাদর।
আর্জেন্টাইন বংশোদ্ভুত এসথার কুনিও জানান, ওদের বলি– আমি তোমাদের ভাষা জানি না। তোমরা আরবিতে কথা বলো আর আমি স্প্যানিশ আর আর্জেন্টাইন ভাষায় কথা বলি। ওরা আর্জেন্টিনাও চিনতো না। যখন জিজ্ঞেস করি, মেসিকে চেনে কিনা? তখন মেসির নাম শুনেই ওরা উৎফুল্ল হয়ে ওঠে। জানায়, মেসিকে ওদের খুব পছন্দ। তারপর আমার সাথে ছবি তোলে, যেন আমি বড় কোনো সেলিব্রেটি।
পরবর্তীতে, যুদ্ধবিরতি ও জিম্মি বিনিময় চুক্তিতে এই বৃদ্ধাকে মুক্তি দেয় হামাস। এসথার জানান, হামাসের হাতে এখনও জিম্মি আছেন তার পরিবারের অন্তত ৭ সদস্য। মেসি তাদের উদ্ধারে এগিয়ে আসবে, এই আশাবাদ তার।
এসথার কুনিও বলেন, আমি চাই, মেসির কান পর্যন্ত ঘটনাটা পৌঁছাক। সে জানুক যে, তার জন্য আমি বেঁচে গেছি। কিন্তু আমার নাতি-নাতনিরা এখনও জিম্মি হয়ে আছে। আমি আশা করব, ওদের ফেরত পেতে আমাকে সাহায্য করবে মেসি।
গত ৭ অক্টোবর তেল আবিবে নজিরবিহীন হামলায় এই নারীসহ আড়াই শতাধিক ইসরায়েলিকে জিম্মি করে হামাস। এ পর্যন্ত এক দফা যুদ্ধবিরতিতে মুক্তি দেয়া হয় ১১২ জনকে।
/এএম
Leave a reply