আহমাদুল কবির, মালয়েশিয়া:
মালয়েশিয়ায় একটি কোম্পানির মালিকপক্ষের বিরুদ্ধে অভিযোগ দায়ের করা তিন বাংলাদেশি শ্রমিককে গ্রেফতারের কারণে পুলিশের বিরুদ্ধে দ্বিমুখী নীতির অভিযোগ তুলেছে পার্টি সোসিয়ালিস মালয়েশিয়া (পিএসএম) নামে দেশটির একটি মানবাধিকার সংগঠন।
শনিবার (২৩ মার্চ) এক পৃথক প্রতিবেদনে এ তথ্য জানায় মালয়েশিয়ার গণমাধ্যম নিউ স্ট্রেইটস টাইমস ও ফ্রি মালয়েশিয়া টুডে।
পিএসএমের ব্যুরো প্রধান এম. শিবরঞ্জনীর বরাতে প্রতিবেদনটিতে বলা হয়, কর্মীদের কাজ ও বেতন না দিয়ে তাদের পাসপোর্ট আটকে রাখে মালিকপক্ষ। এর বিরুদ্ধে অভিযোগ করায় তিন বাংলাদেশি শ্রমিককে গ্রেফতার করে পুলিশ। পরে গ্রেফতারকৃত শ্রমিকদের দুটি অভিযোগে চার দিনের রিমান্ডেও নেয়া হয়। কিন্তু নিয়োগকারী কোম্পানির বিরুদ্ধে প্রশাসন কোনো ব্যবস্থা নেয়নি।
ফাঁদে ফেলে মিথ্যা অভিযোগ এনে তাদের গ্রেফতার করা হয় বলে অভিযোগ শ্রমিকদের। যাতে বাকি শ্রমিকরা ভয়ে চুপ হয়ে থাকে। বিষয়টি শ্রম বিভাগ ও মানবসম্পদ মন্ত্রীর কাছেও উপস্থাপিত হয়েছে বলে জানিয়েছে এম. শিবরঞ্জনী।
এদিকে, দেশটির অনলাইন পত্রিকা ‘ফোকাস মালয়েশিয়া’ এক প্রতিবেদনে জানায়, বাংলাদেশ থেকে মালয়েশিয়ায় ওয়ার্ক পারমিটের আওতায় আসা ১৬০ জন শ্রমিকের মধ্যে ওই তিনজনও ছিলেন। বেকস কনস্ট্রাকশন এসডিএন বিএইচডি নামক কোম্পানিটি তাদের প্রতিমাসে ১৫০০ রিঙ্গিত বেসিক বেতনের কথা দিয়েছিল। তবে মালয়েশিয়ায় আসার পর কোম্পানিটি থেকে কোনো কাজ বা বেতন পাননি। বর্তমানে তারা বেকার জীবনযাপন করছেন।
শিবরঞ্জনী বলেন, মালিকপক্ষের লোকজন পাসপোর্ট ফেরত দিতে কর্মীদের কাছ থেকে ৬ হাজার রিঙ্গিত আদায় করেছে। তিনি বলেন, এ বিষয়ে গত ৪ জানুয়ারি দেশটির সুবাং জয়াকে শ্রম বিভাগের কাছে অভিযোগ দায়ের করতে সহায়তা করেছিল পিএসএম। পরে শ্রম বিভাগ কোম্পানির মালিককে দুটি বিকল্প সমাধানের কথা বলে। তা হলো– শ্রমিকদের দেশে ফেরত পাঠানো অথবা তাদের জন্য নতুন কোনো কোম্পানিতে কাজের ব্যবস্থা করা। এছাড়া, কোম্পানির মালিককে শ্রমিকদের বকেয়া মজুরি পরিশোধ করতেও বলা হয়েছিল।
অপরদিকে, শ্রমিকদের নিয়ে কাজ করা মানবাধিকার সংগঠন পিএসএম অবিলম্বে আটককৃত তিনজন শ্রমিককে মুক্তি ও পাসপোর্ট ফেরত দেয়ার আহ্বান জানিয়েছে। পাশাপাশি, শ্রমিকদের সুরক্ষা নিশ্চিতেরও আহ্বান জানায় সংগঠনটি।
/আরএইচ
Leave a reply