দাম কমিয়ে আবারও পূর্বের মূল্য ৫৯৫ টাকাতেই গরুর মাংস বিক্রির ঘোষণা দিয়েছেন উত্তর শাহজাহানপুরের মাংস বিক্রেতা খলিল। বলেন, লাভ-লোকসান বুঝি না। ২০ রমজান পর্যন্ত ৫৯৫ টাকায় মাংস বিক্রি করব। আমি কথা দিয়েছিলাম সেটা রাখবো। প্রতিদিন ২০টি করে গরু জবাই হবে বিকেল পর্যন্ত।
রোববার (২৪ মার্চ) জাতীয় ভোক্তা অধিকার সংরক্ষণ অধিদফতরের প্রধান কার্যালয়ের নতুন সভাকক্ষে ‘সাশ্রয়ী মূল্যে গরুর মাংস বিক্রি বিষয়ে’ এক সংবাদ সম্মেলনে এসব কথা বলেন খলিল। জানান, প্রতিদিন সকাল ৭টা থেকে বিকেল ৩টা পর্যন্ত ৫৯৫ টাকায় মাংস কিনতে পারবেন ভোক্তারা।
এ সময় অধিদফতরের মহাপরিচালক এ এইচ এম শফিকুজ্জামান, পুরান ঢাকার মাংস বিক্রেতা নয়ন, মিরপুরের মাংস বিক্রেতা উজ্জ্বলসহ অধিদফতরের কর্মকর্তারা উপস্থিত ছিলেন।
সংবাদ সম্মেলনে মিরপুরের গরুর মাংস বিক্রেতা উজ্জ্বল বলেন, যতদিন সাধ্য ছিল তিনিও ৫৯৫ টাকায় মাংস বিক্রি করেছেন। এখন ৩৫ টাকা বাড়িয়েছেন। লোকসান যাতে না হয় তাই ৬৩০ টাকা মাংসের দর নির্ধারণ করেছেন। যতদিন পারবেন এ দামেই বিক্রি করবেন।
একই সম্মেলনে উপস্থিত পুরান ঢাকার মাংস বিক্রেতা নয়ন বলেন, তিনি ৫৭০ টাকায় মিক্সড মাংস বিক্রি করছিলেন। এখন ৩০ টাকা বাড়িয়ে ৬০০ টাকায় বিক্রি করবেন। আর ঝুলানো মাংস ৬৬৪ টাকায় বিক্রি করবেন যা আগে ছিল ৬৫০ টাকা।
এর আগে, দশ রোজা না পেরুতেই গরুর মাংসের দাম বাড়িয়ে দেয় আলোচিত এই গরুর মাংস ব্যবসায়ী খলিল। কেজিতে ১০০ টাকা বাড়িয়ে ৬৯৫ টাকা করা হয়। সেসময় তিনি জানান, নানামুখী চাপে আছেন তিনি। খামার থেকে যে দামে গরু কিনতে হচ্ছে, তাতে ৫৯৫ টাকায় বিক্রি করে পোষাতে পারছেন না। এতে লোকসান হচ্ছে। আরও বলেন, ক্রেতাদের ভিড় হওয়ায় বাধ্য হয়ে মাংসের দাম কেজিতে ১০০ টাকা বাড়াতে হয়েছে।
/এমএইচ
Leave a reply