আমেরিকার ওরেগন প্রদেশে ১৯৮০ সালের এক কলেজ পড়ুয়াকে ধর্ষণ করে খুনের মামলা এত বছর অমীমাংসিত ছিল। তবে সম্প্রতি একটি চুইংগামের সাহায্যে খুনিকে চিহ্নিত করার দাবি করেছে দেশটির পুলিশ। খবর সিএনএনের।
যুক্তরাষ্ট্রের মাল্টনোমা কাউন্টি ডিস্ট্রিক্ট অ্যাটর্নি একটি বিবৃতিতে জানিয়েছেন, ১৯৮০ সালের ১৫ জানুয়ারি ১৯ বছর বয়সী বারবারা টাকারকে অপহরণ করে যৌন নির্যাতন চালানো হয়। তার পর মারতে মারতে খুন করা হয়। মাউন্ট হুড কমিউনিটি কলেজের শিক্ষার্থী ছিলেন বারবারা।
অ্যাটর্নি জানিয়েছেন, কলেজ চত্বরে পার্কং লটের কাছে একটি জায়গায় বারবারাকে খুন করেছিল রবার্ট প্লাইমটন। তার বয়স এখন ৬০। ঘটনার পরদিন সকালে ক্লাস করতে গিয়ে অন্য শিক্ষার্থীরা বারবারার মরদেহ দেখতে পান।
গত সপ্তাহে রবার্টকে দোষী সাব্যস্ত করেছে আদালত। অবশ্য অভিযোগ অস্বীকার করেছে সে। তার আইনজীবীরা জানিয়েছেন, এই রায়ের বিরুদ্ধে তারা উচ্চ আদালতে যাবেন। তাদের বিশ্বাস, এই রায় খারিজ হয়ে যাবে।
কিন্তু এত বছর আগের এক ঘটনায় কীভাবে খুনিকে ধরা হলো? ডিস্ট্রিক্ট অ্যাটর্নির কথায় জানা গেছে, মামলাটি বহু পুরনো হলেও তদন্ত কখনোই বন্ধ হয়নি। তিনি বলেন, বারবারার দেহ ময়নাতদন্তের সময়ে তার যোনি থেকে নমুনা সংগ্রহ করা হয়েছিল। ২০০০ সালে সেই নমুনা ওরেগন স্টেট পুলিশের কাছে পাঠানো হয় বিশ্লেষণের জন্য। ওই নমুনা থেকে অপরাধীর একটি ডিএনএ প্রোফাইল তৈরি করেছিল পুলিশের ক্রাইম ল্যাব। এর অনেক পরে তদন্তকারী কর্মকর্তারা নজরদারি চালানোর সময় রবার্টকে মুখ থেকে চুইংগাম ফেলতে দেখেন। রবার্টের ওপর তাদের সন্দেহ ছিল। তারা ওই চুইংগামটি সংগ্রহ করে পরীক্ষার জন্য ক্রাইম ল্যাবে পাঠান। চুইংগাম থেকে যে ডিএনএ প্রোফাইল পাওয়া গেছে, সেটি বারবারার যোনি থেকে সংগৃহীত নমুনা থেকে তৈরি ডিএনএ প্রোফাইলের সঙ্গে মিলে যায়।
২০২১ সালের ৮ জুন রবার্টকে হেফাজতে নেয় পুলিশ। মামলার শেষে তাকে দোষী সাব্যস্ত করা হয়েছে।
এটিএম/
Leave a reply