সিলেট টেস্টে হারের প্রহর গুনছে বাংলাদেশ। প্রথম ইনিংসের মতো দ্বিতীয় ইনিংসেও ব্যাটিং বিপর্যয়ে পড়েছে টাইগাররা। শ্রীলঙ্কার ছুড়ে দেওয়া ৫১১ রানের পাহাড়সম টার্গেট টপকাতে নেমে ৩৭ রান করতেই বাংলাদেশ হারিয়ে বসে পাঁচ উইকেট। পাঁচ ব্যাটারের মধ্যে তিনজনই প্যাভিলিয়নে ফেরত যান শূন্য হাতে, এরমধ্যে লিটন দাস হয়েছেন গোল্ডেন ডাক।
দ্বিতীয় ইনিংসে আত্মঘাতী সব শটে নিজেদের উইকেট বিলিয়ে দিয়েছেন বাংলাদেশি ব্যাটাররা। বিশেষ করে লিটন কুমার দাসের আউটের ধরন নিয়ে সবচেয়ে বেশি সমালোচনা হচ্ছে। এই উইকেটরক্ষক ব্যাটার ৪ উইকেট পতনের পর নেমে ডাউন দ্য উইকেতে এসে খেলতে গিয়ে কাভারে এঞ্জেলো ম্যাথিউসকে ক্যাচ দিয়েছেন। ম্যাচ শেষে এই আউটের ব্যাখ্যা জানতে চাওয়া হয়েছিল মেহেদী হাসান মিরাজের কাছে। জবাবে মিরাজ বলেন, অবশ্য সবাই হতাশায় ছিল। এরকম আউট হলে সবারই তো খারাপ লাগে।
আত্মাঘাতি শটের ব্যাখ্যা আসলে কি? এমন প্রশ্নের জবাবে মিরাজ বলেন, এটার ব্যাখ্যা যে খেলোয়াড় খেলে ব্যক্তিগতভাবে সেই আসলে বলতে পারবে তার পরিস্থিতি কি চলছে। ওই মুহুর্তে কি চিন্তা করছে। শেষের দিকে অবশ্যই এটা কঠিন। আমাদের চ্যালেঞ্জ নিতে হবে। যেহেতু আমরা পেশাদার খেলোয়াড়। ব্যক্তিগতভাবে আমাদের যে আউটগুলো হয়েছে অবশ্যই হতাশাজনক। তারপরও আমরা চেষ্টা করব। মুমিনুল ভাই আছে, আমি আছি আমরা যদি একটু রান করতে পারি আমাদের জন্য ভালো হবে।
টেস্ট দলের বেশিরভাগ ক্রিকেটার টি-টোয়েন্টি সিরিজের দলেও ছিলেন। বাকিরা খেলছিলেন ঢাকা প্রিমিয়ার লিগে। ফলে ক্রিকেটের দীর্ঘতম ফরম্যাটের সঙ্গে মানিতে নিতে পারছেন না ক্রিকেটাররা এমনটাও মনে করছেন অনেকে। মিরাজের ধারণা বাংলাদেশের ব্যাটারদের শট খেলার প্রবণতার কারণেই ভুগতে হচ্ছে দলকে।
মিরাজ ব্যাটারদের সমালোচনা করে বলেন, আমাদের আরও স্কিল ডেভোলাপ করতে হবে। আমাদের কোন জায়গায় ঘাটতি আছে। আমাদের হয়ত শট খেলার প্রবণতা একটু বেশি হচ্ছে। যে বলটা ছাড়তে পারি ইজিলি সেটা হয়ত খেলে দিচ্ছি তখন হয়ত আউট হয়ে যাচ্ছি। টেস্ট ক্রিকেটটা আরও উন্নতি করতে হবে প্লেয়ারদের।
/আরআইএম
Leave a reply