মোদি স্টেডিয়ামের জুজু কাটাতে পারলো না মুম্বাই

|

ছবি: সংগৃহীত

নরেন্দ্র মোদি স্টেডিয়ামে গুজরাট টাইটান্সের বিপক্ষে এর আগে ২ টি ম্যাচ খেলেছিল মুম্বাই ইন্ডিয়ান্স। যেখানে দুটি ম্যাচেই হারতে হয়েছিল পাঁচবারের চ্যাম্পিয়নদের। সুযোগ ছিল তৃতীয়বার মোদি স্টেডিয়ামে জুজু কাটানোর, তবে সহজ সমীকরণ মেলাতে না পেরে তৃতীয়বারেও হারের মুখ দেখতে হলো হার্দিক পান্ডিয়ার দলের। মোহিত শর্মা, স্পেন্সার জনসন এবং উমেশ যাদবদের নাটকীয় বোলিংয়ে ৬ রানের জয় তুলে নেয় শুভমান গিলের দল।

রোববার (২৪ মার্চ) আহমেদাবাদের নরেন্দ্র মোদি স্টেডিয়ামে টস জিতে আগে ফিল্ডিং নেয়ার সিদ্ধান্ত নেন মুম্বাই ইন্ডিয়ান্সের নতুন অধিনায়ক হার্দিক পান্ডিয়া। ব্যাট করতে নেমে পাওয়ার প্লে’তে আগ্রাসী ভঙ্গিমায় খেলছিলেন গুজরাটের দুই ওপেনার ঋদ্ধিমান সাহা এবং শুভমান গিল। চতুর্থ ওভারের শেষ বলে ঋদ্ধিমানকে বোল্ড করে তাদের ৩১ রানের জুটি ভাঙেন জসপ্রীত বুমরাহ।

ঋদ্ধিমান ১৫ বলে ১৯ করে ফিরে গেলেও আরও কিছুক্ষণ টিকেছিলেন গিল। ২২ বলে ৩১ রান করা গুজরাটের অধিনায়ককে ফেরান পীযূষ চাওলা। বর্ষীয়ান এই স্পিনারের দ্রুত গতিতে আসা ডেলিভারিকে লং অনে বাউন্ডারি ছাড়া করতে গিয়ে মোহিত শর্মার তালুবন্দী হন গিল।

তারপর ৪০ রানের জুটি গড়েন সাই সুদর্শন এবং আজমতউল্লাহ ওমরজাই। ব্যাট হাতে এ দিন তেমন কিছু করতে পারেননি এই আফগান অলরাউন্ডার। আরেক অভিষিক্ত জেরাল্ড কোয়েটজির বলে ডিপ মিড উইকেটে ক্যাচ দিয়ে ফিরে যাওয়ার আগে ১১ বলে ১৭ রান করেন তিনি। শেষদিকে ১৫ বলে ২২ রান করা রাহুল তেওয়াটিয়ার উইকেটও নেন কোয়েটজি। গুজরাটকে মূলত ম্যাচে রেখেছিলেন সুদর্শন। বুমরাহর বলে স্কয়ার লেগে ক্যাচ আউট হওয়ার আগে ৩৯ বলে তিনটি চার ও একটি ছক্কায় ৪৫ রান আসে তার ব্যাটে।

মুম্বাইয়ের হয়ে চার ওভারে ২৭ রান দিয়ে দুই উইকেট নেন অভিষিক্ত কোয়েটজি। তবে দলটির সফল বোলার সেই বুমরাহই। মাত্র ১৪ রান খরচায় তিন উইকেট নেন এই পেসার।

জবাব দিতে নেমে শুরুতেই হোঁচট খায় মুম্বাই। ইনিংসের চতুর্থ বলে শূন্য হাতে সাজঘরে ফেরেন ঈশান কিষান। তৃতীয় উইকেটে ব্যাটিংয়ে এসে দ্রুত রান তুলতে থাকেন নামান ধীর। তবে ইনিংস বড় করতে পারেননি তিনি। ১০ বলে ২০ রান করে লেগ বিফোরের ফাঁদে পড়েন এই ডান হাতি ব্যাটার। ৩০ রানে ২ উইকেট হারানো মুম্বাইকে ম্যাচে ফেরায় রোহিত শর্মা ও ডেভাল্ড ব্রেভিস জুটি।

তৃতীয় উইকেটে ৭৭ রান যোগ করেন তারা। দু’জনই চল্লিশ পার করলেও হাফ সেঞ্চুরির দেখা পাননি। রোহিতকে ৪৩ রানে থামান সাই কিশোর। ৪৬ রানে মোহিত শর্মাকে ফিরতি ক্যাচ দেন ব্রেভিস। শেষ ৪ ওভারে ৩৯ রান লাগতো মুম্বাইয়ের। মাঝে রশিদ খানের এক ওভারে মাত্র তিন রান নিয়ে আরও চাপে পড়ে মুম্বাই। নিজের পরের ওভারে টিম ডেভিডকেও ফেরান মোহিত। তার স্লোয়ার বাউন্সারে সজোরে আঘাত করতে গিয়ে বল উপরে তুলে দেন ১০ বলে ১১ রান করা এই অস্ট্রেলিয়ান। ডিপ মিড উইকেট থেকে দৌড়ে এসে সেই ক্যাচটি ধরেন ডেভিড মিলার।

১৯তম ওভারম করতে আসেন আইপিএল অভিষিক্ত পেসার স্পেন্সার জনসন। প্রথম বলে ছক্কা খেলেও ফিরিয়ে দেন তিলক ভার্মা (১৯ বলে ২৫) এবং জেরাল্ড কোয়েটজিকে। শেষ ওভারে জয়ের জন্য ১৯ রান লাগতো মুম্বাইয়ের। প্রথম দুই বলে ছক্কা এবং চার হাঁকিয়ে উমেশ যাদবকে স্বাগত জানালেও তার তৃতীয় বলে লংঅনে ক্যাচ দিয়ে ফিরে যান হার্দিক। চতুর্থ বলে রশিদ খানের হাতে ক্যাচ দেন চাওলা। সমীকরণ দাঁড়ায় ২ বলে ৯, পঞ্চম বলে ১ রানের বেশি নিতে পারেননি বুমরাহ, আর শেষ বলে সিঙ্গেল নেন শামস মুলানি। আর তাতেই ৯ উইকেট হারিয়ে ১৬২ রানে থামে মুম্বাই।

গুজরাটের বোলারদের মধ্যে আজমতউল্লাহ ওমরজাই, উমেশ, স্পেন্সার এবং মোহিত দুটি করে উইকেট নেন। এছাড়াও একটি উইকেট পান সাই কিশোর।

/আরআইএম


সম্পর্কিত আরও পড়ুন




Leave a reply