রাজধানীর বিভিন্ন পাইকারি বাজারে চাঁদাবাজি

|

রাব্বী সিদ্দিকী:

ভোরে কারওয়ান বাজার মোড়ে দাঁড়ালেই চোখে পড়বে নতুন স্টাইলের চাঁদাবাজি। সড়ক ধরে বাজার নিয়ে সিএনজি, অটোরিকসা-ভ্যান যাই বের হোক না কেন, সবার পথ আটকে টাকা আদায় করা হয়। অভিযোগ, ট্রাফিক পুলিশের ইন্ধনে এখানে গাড়ি প্রতি চাঁদাবাজি হয়।

এ বিষয়ে এক পুলিশ সদস্যকে জিজ্ঞেস করলে তিনি জানান, আমরা কিছু দেখি নাই। কেন টাকা নেয়া হচ্ছে, এমন প্রশ্ন করলে পাওয়া যায়নি কোন উত্তর।

অন্যদিকে, মিরপুর-১ এর দিয়াবাড়ির আড়ত। এ আড়ত থেকে কেনাকেটা করলেই দিতে হয় চাঁদা। আর এ টাকা তোলার জন্য সড়কের দুই পাশে মোট ১০ জন কাজ করছেন।

স্থানীয় যুবলীগ নেতা রতন তার লোকদের দিয়ে এই টাকা তোলেন। প্রতিদিন গড়ে ১ লাখ টাকা হিসেবে মাসে চাঁদা ওঠে প্রায় ৩০ লাখ টাকা।

ব্যবসায়ীদের অভিযোগ, এসব দেখার যেনো কেউ নেই। আর যারা আছেন তারা তো চাঁদার টাকার ভাগসহ প্রতিদিন তরিতরকারিও ফ্রি পান।

একজন রিকশাওয়ালা বলেন, প্রতিদিন গাড়ি দিয়ে পণ্য নিতে গেলে গুণতে হয় ১০ টাকা, আর অটোকে দিতে হয় ২০ টাকা। আরেকজন অটোচালক বলেন, মাসের ৩০ দিনই দিতে হয় এই টাকা।

আরেকজন ভুক্তভুগি বলেন, পিকআপ নিয়ে গেলে দিতে হয় ৫০ টাকা। অন্যদিকে, যদি ট্রাক দিয়ে পণ্য নিয়ে যাওয়া হয়,তাহলে দিতে হয় কমপক্ষে ১৫০ থেকে ২০০ টাকা।

তবে সম্প্রতি র‍্যাব পণ্যবাহী ট্রাকে চাঁদাবাজি করার সময় হাতে নাতে কয়েকশ চাঁদাবাজকে গ্রেপ্তার করেছে। এবার বাজারকেন্দ্রিক এমন চাঁদাবাজি বন্ধ করতে সংস্থাটি কাজ করছে।

র‍্যাবের আইন ও গণমাধ্যম শাখার পরিচালক কমাণ্ডার খন্দকার আল মঈন বলেন, চাঁদাবাজি করে যারা অর্থের লভ্যাংশ নিচ্ছে, তাদেরকে আইনের আওতায় নিয়ে আসতে কাজ করছে র‍্যাব। সাম্প্রতিক সময়ে, কারওয়ান বাজার ও গাবতলিতে থেকে থেকে বেশ কয়েকজনে আটক করা হয়েছে। সুতরাং র‍্যাবের এই অভিযান চলমান থাকবে।

কমাণ্ডার খন্দকার আল মঈনের মতে, র‍্যাব পুলিশের পাশাপাশি ব্যবসায়ীদেরও এমন চাঁদাবাজদের বিরুদ্ধে সোচ্চার হতে হবে।

/এআই


সম্পর্কিত আরও পড়ুন




Leave a reply