অ্যাঞ্জেল ডি মারিয়া তার স্বদেশের ক্লাব রোজারিও সেন্ত্রালে ফিরতে পারেন, বেশ কিছুদিন ধরে এমন গুঞ্জন শোনা যাচ্ছে। এরপরই আর্জেন্টিনার এই মিডফিল্ডার ও তার পরিবারকে হুমকি দেয় সন্ত্রাসীরা। চিরকুটে বার্তা পাঠিয়ে এই তারকাকে রোজারিওতে ফিরতে নিষেধ করা হয়। তবে স্বস্তির খবর, ডি মারিয়া ও তার পরিবারের সদস্যকে হত্যার হুমকি দেয়া ব্যক্তিদের গতকাল গ্রেফতার করেছে আর্জেন্টিনার ফেডারেল পুলিশ এবং অপরাধমূলক কর্মকাণ্ডের তদন্ত ও তথ্য সংগ্রহকারীর একটি বিশেষ ইউনিট পিডিআই।
২০০৫ সালে রোজারিও সেন্ত্রালের হয়ে পেশাদার ক্যারিয়ার শুরু করেন দি মারিয়া। সেখান থেকেই তিনি পাড়ি জমান ইউরোপে। বেনফিকা থেকে রেয়াল মাদ্রিদ, ম্যানচেস্টার ইউনাইটেড, পিএসজি, য়্যুভেন্তাস হয়ে গত জুলাইয়ে ফের বেনফিকায় ফেরেন তিনি। পর্তুগিজ ক্লাবটির সঙ্গে ৩৬ বছর বয়সী তারকার চুক্তি আছে আগামী জুন পর্যন্ত। এরপর তিনি রোজারিও সেন্ত্রালে ফিরতে পারেন বলে গুঞ্জন আছে।
দেশে গেলে ডি মারিয়া যেখানে থাকেন, রোজারিওর সান্তা ফে প্রদেশের সেই বাড়ির দরজায় সোমবার ভোরে কালো প্লাস্টিকের একটি ব্যাগ ছুড়ে দেয়া হয় গাড়ি থেকে। যেটির তদন্ত শুরু করেছে সান্তা ফে পুলিশ। আর্জেন্টিনার জাতীয় নিরাপত্তামন্ত্রী পাত্রিসিয়া বুলরিখ জানিয়েছেন, এই হুমকি দেয়ার মূল হোতার নাম পাবলো আকোত্তো। মাদক চোরাচালানের ব্যাপারে তার বিরুদ্ধে তদন্ত চলছে। হুমকি দেয়ায় তাকে সহযোগিতা করেছেন সারা বেলেন গুতিরেজ ও গ্যাব্রিয়েল ইসমায়েল পাস্তোরে। পাবলো আকোত্তো হুমকি দেয়ার কথা স্বীকার করেছেন।
আর্জেন্টিনার সংবাদমাধ্যম টিওয়াইসি স্পোর্টস জানিয়েছে, নিজ নিজ বাসা থেকে পালানোর সময় এই তিনজনকে গ্রেপ্তার করা হয়। সান্তা ফে প্রদেশের দুই সরকারি কৌঁসুলি হাভিয়ের আরজুবি ও পাবলো সোক্কা এই অভিযানে জোরদার ভূমিকা পালন করেন।
টিওয়াইসি স্পোর্টস আরও জানিয়েছে, গত ২৫ মার্চ সোমবার রাত আড়াইটায় অপরাধীরা গাড়িতে করে ফুনেস হিলস মিরাফ্লোরেস কান্ট্রি হাউসের সামনে হুমকিবার্তা ফেলে রেখে যান। ডি মারিয়া আর্জেন্টিনায় ফিরলে সেখানেই থাকেন।
এর আগে, এক গাড়িতে ডি মারিয়ার রোজারিওর বাড়িতে এসে পরিবারের সদস্যকে মেরে ফেলার ইঙ্গিত দিয়ে ফেলে যাওয়া চিঠিতে হুমকিদাতারা লিখেছেন, আপনার ছেলে আনহেলকে বলবেন, রোজারিও না ফিরতে। নয়তো আমরা পরিবারের সদস্যদের একজনকে খুন করব। এমনকি পুল্লারোও (প্রাদেশিক গভর্নর) বাঁচাতে পারবেন না। আমরা এই হুমকিপত্রই ফেলে যাচ্ছি না। আমরা বুলেট এবং মৃত্যু লোককেই ফেলে যাচ্ছি।
উল্লেখ্য, আর্জেন্টিনার সব শহরের মধ্যে রোজারিওতে খুনের হার সবচেয়ে বেশি। সেখানে মৃত্যুর হুমকি সাধারণ ব্যাপার। গত বছর হুমকি দেয়া হয়েছিল লিওনেল মেসিকেও। মোটরসাইকেলে আসা দু’জন ব্যক্তি মেসির স্ত্রী আন্তোনেল্লা রোকুজ্জের পরিবারের মালিকানাধীন একটি সুপারমার্কেটে এসে গুলি ছোড়ে এবং একটি চিরকুট রেখে যায় দোকানের দরজায়।
Leave a reply