রাব্বী সিদ্দিকী:
রাজধানীর মানিকদীতে বাহিনী দিয়ে দখলদারিত্ব ও চাঁদাবাজি করে আসছে আব্বাস উদ্দিন। তিনি ক্ষমতাসীন দলের রাজনীতির সাথে সম্পৃক্ত। অভিযোগ, এই এলাকায় তার ইচ্ছার বিরুদ্ধে কেউ জমি বিক্রি বা কিনতে পারে না। দিতে হয় মোটা অঙ্কের চাঁদা।
ভুক্তভোগীদের দাবি, থানা-পুলিশ ম্যানেজ করেই এমন অপকর্ম করে আসছে আব্বাস। স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী, র্যাব ও পুলিশের কাছে অভিযোগ করেও কোনো প্রতিকার মেলেনি।
মানিকদীর জোয়ার সাহারা মৌজায় ১৩ শতাংশ জমি কিনেছিলেন বিমান বাহিনীর সাবেক সিনিয়র ওয়ারেন্ট অফিসার আবুল বাশার। তার দাবি, চাঁদা না দেয়ায় ২০১৮ সালে সেই জমি দখল করে নেয় আব্বাস।
আবুল বাশার বলছিলেন, আদালত থেকে নিষেধাজ্ঞা আনা হলেও তা তোয়াক্কাই করেনি। জেলা প্রশাসকের কাছে গিয়েছিলাম। বিষয়টি ওসিকে দেখতে বলেছেন উনি। ওসি দুই-চারদিন দেখে তাদের কথামতোই কাজ করে।
তার মতো আরেক ভুক্তভোগী লিটন উদ্দিন। ক্যান্টনমেন্ট থানার নামাপাড়ায় ১৫০ শতাংশ পৈতিক জমি ছিল তার। কিন্তু আব্বাস বাহিনী সেটি দখল করে রেখেছে। থানাকে ম্যানেজ করেই এমন অপরাধ বলে দাবি ভুক্তভোগীর।
লিটন উদ্দিন বলেন, আমাদের জমি ১৫০ শতক। পুরো জমিটা ওরা দখল করে রাখছে। আমরা অসহায় মানুষ, বাসস্থান নেই। আমরা জায়গাটা ফিরিয়ে পেতে চাই।
ইসিবি চত্বর থেকে বাউনিয়া কালীবাড়ী পর্যন্ত অবৈধ অটোরিকশাও নামিয়েছে আব্বাস। প্রতিদিন সেগুলো থেকে ১০০ টাকা করে চাঁদা তোলে তার রোকজন।
নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক একজন বলেন, কোনোদিন চাঁদা দিতে না পারলে আব্বাসের কাছে নিয়ে যায় তার লোকজন। নিয়ে গিয়ে ভয় দেখায়, কখনো কখনো মারে।
শুধু জমি দখল নয়, চাদাঁবাজি ছাড়াও দলের নেতাকর্মীদের মারধরের অভিযোগও রয়েছে আব্বাসের বিরুদ্ধে। অভিযোগের বিষয়ে জানতে আব্বাসের সাথে যোগাযোগ করার চেষ্টা করেও তার বক্তব্য পাওয়া যায়নি।
এরইমধ্যে আব্বাস বাহিনীর বিরুদ্ধে স্বরাষ্ট্র্র মন্ত্রণালায়, ডিএমপি কমিশনার, প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয়ে অভিযোগ দিয়েছেন ভুক্তভোগীরা। অভিযোগের ভিত্তিতে তদন্ত কমিটিও গঠন করা হয়েছে।
ডিএমপির অতিরিক্ত কমিশনার ড. খন্দকার মহিদ উদ্দিন বলেন, এ ধরনের কোনো কিছু করার সুযোগ নেই এখন। কোনোভাবে এটি করতে দিবো না। তথ্য পেলে আমরা গ্রেফতার করবো।
আবুল বশার ও লিটন উদ্দিনের মতো আরও অনেক ভুক্তভোগী থাকলেও তাদের মধ্যে কেউ কেউ আব্বাসের ভয়ে মুখ খুলতে চান না।
/এমএন
Leave a reply