নারীর অন্তর্বাস নিয়ে দুই ইসরায়েলি সেনার বিকৃত আচরণের দৃশ্য যুদ্ধবিধ্বস্ত গাজা উপত্যকার। আগ্রাসন চালানোর পর ফিলিস্তিনিদের ঘরে ঢুকে এভাবেই নারীদের ব্যবহৃত বিভিন্ন ব্যক্তিগত জিনিস নিয়ে বিকৃত ভিডিও কন্টেন্ট বানিয়েছে তেল আবিবের সেনারা। সেগুলো আবার পোস্ট করছে ইনস্টাগ্রাম, ইউটিউবের মতো বিভিন্ন সামাজিক মাধ্যমে।
নারীদের পোশাক কিংবা ব্যক্তিগত জিনিস নিয়ে ভিডিও তৈরির পাশাপাশি ইহুদি সেনাদের বিকৃত যৌনাচার থেকে রেহাই পাচ্ছে না বিধ্বস্ত উপত্যকার ম্যানিকিন কিংবা পুতুলও।
ইসরায়েলের সামরিক বাহিনীর সদস্যদের ফিলিস্তিনি নারীদের প্রতি এমন বিদ্বেষপূর্ণ আচরণ নিয়ে এরইমধ্যে উঠেছে নিন্দার ঝড়। তাদের এই বিকৃত মানসিকতাকে মূল্যবোধের অবক্ষয় বলছেন অনেকে। এমনকি খোদ ইসরায়েলেও হচ্ছে সমালোচনা।
মানবাধিকার কর্মী সারা এলিজাবেথ ডিল বলেন, ধর্মীয় রীতিতে জীবন যাপনে অভ্যস্ত গাজার নারীদের বেশিরভাগই রক্ষণশীল। ইসরায়েলি সেনারা সেটি ভালো করেই জানে। আর তাই তাদের ব্যক্তিগত জীবন সবার সামনে উন্মুক্ত করার জন্যই এমনটি করছে তারা। এটি নিশ্চিতভাবেই তাদের বিকৃত মানসিকতার প্রকাশ।
ইসরায়েলি সাংবাদিক ওয়েন পেরসিকো বলেন, ইসরায়েলি হিসেবে আমরা বরাবরই বলে আসছি, গাজায় নারী জিম্মিরা যৌন নির্যাতনের শিকার হয়েছে। সম্ভবত এখনও হচ্ছে। তবে সেগুলো শুধুই আমাদের শোনা গল্প। কেউই তা চোখে দেখিনি। কিন্তু গাজার ফিলিস্তিনি নারীদের প্রতি এই সেনাদের যে বিন্দুমাত্র সম্মান নেই, সেটি তাদের এসব আচরণে স্পষ্ট।
এসব অভিযোগের তদন্ত চলছে, দাবি আইডিএফের। যুদ্ধের ময়দানে সেনাদের সামরিক বাহিনীর মূল্যবোধ মেনে চলার নির্দেশ দেয়া হয়েছে বলেও জানানো হয়।
সম্প্রতি জাতিসংঘেরর এক প্রতিবেদনেও ইসরায়েলি সেনাদের বিরুদ্ধে ফিলিস্তিনি নারীদের ওপর যৌন সহিংসতার অভিযোগ ওঠে। যদিও সেসব অভিযোগ প্রত্যাখ্যান করেছে তেল আবিব।
/এএম
Leave a reply