বেনাপোল ছেড়ে ভোমরামুখী ফল ব্যবসায়ীরা

|

ছবি: বাঁ দিকে ভোমরা স্থলবন্দরের ওজন স্কেল ও ডান দিকে বেনাপোল স্থলবন্দরের ওজন স্কেল।

বেনাপোল করেসপনডেন্ট:

সম্প্রতি বেনাপোল স্থলবন্দর দিয়ে ফল আমদানির পরিমাণ কমেছে। বর্তমানে বেশিরভাগ ফল ব্যবসায়ী সাতক্ষীরার ভোমরা স্থলবন্দর দিয়ে ফল আমদানি করছেন। ব্যবসায়ীরা জানান, বেনাপোল স্থলবন্দরে সফটওয়্যার নিয়ন্ত্রিত ডিজিটাল ওজন স্কেলের মাধ্যমে ওজন পরিমাপ করা হয়। অন্যদিকে ভোমরা স্থলবন্দরে ম্যানুয়াল পদ্ধতিতে ওজন পরিমাপ করা হয়। ফলে সেখানে ওজনের তারতম্য ঘটানো সম্ভব।

ওজনের এই তারতম্যে খোদ ভোমরা স্থলবন্দর ও কাস্টমসের কর্মকর্তারা জড়িত বলে অভিযোগ রয়েছে। অনুসন্ধানে দেখা যায়, গত ২০ মার্চ ভোমরা স্থলবন্দর দিয়ে ভারত থেকে আঙুর বোঝাই একটি ট্রাক (ডই২৫খ-৬৪৬৮) বাংলাদেশে প্রবেশ করে। ওজন স্কেলে ফলবোঝাই ট্রাকটির গ্রোস (টোটাল) ওজন ৪০ হাজার ৭৮০ কেজি ও নীট ওজন (ফলের ওজন) ২৭ হাজার ৮৮০ কেজি হয়। কিন্তু রাজস্বের জন্যে প্রিন্ট করা কাগজে ট্রাকটির গ্রোস (টোটাল) ওজন ৩৮ হাজার ৮৮০ কেজি ও নীট ওজন (ফলের ওজন) ২৫ হাজার ৯০০ কেজি দেখানো হয়। এখানে ট্রাকটির নীট ওজনে প্রায় ১ হাজার ৯৮০ কেজি গড়মিল রয়েছে।

নাম প্রকাশ না করার শর্তে বেনাপোল স্থলবন্দরের এক ব্যবসায়ী জানান, আগে প্রতিদিন এই বন্দর দিয়ে ৫০ থেকে ৬০ ট্রাক ফল আমদানি হতো। কিন্তু এখন তা কমে ৩ থেকে ৪ ট্রাকে দাঁড়িয়েছে। অপরদিকে ভোমরা স্থলবন্দর দিয়ে প্রতিদিন ৪০ থেকে ৫০ ট্রাক ফল আমদানি করা হচ্ছে। ভোমরা বন্দরে ট্রাক প্রতি দেড় থেকে দুইটনের বেশি শুল্ক ফাঁকি দেয়ার সুযোগ পাচ্ছে। এই কারণে ভোমরা বন্দর ব্যবহারে বেশি আগ্রহ দেখাচ্ছেন আমদানিকারকরা। এর ফলে সরকার রাজস্ব হারাচ্ছে।

আমদানিকারক প্রতিষ্ঠান গাজী এক্সিমের স্বত্বাধিকারী গাজী শামিম উদ্দিন বলেন, এভাবে চলতে থাকলে বেনাপোল স্থলবন্দরের রাজস্ব আদায়ের যে সুনাম রয়েছে, তা নষ্ট হয়ে যাবে।

এ বিষয়ে ভোমরা স্থলবন্দরের কাস্টমস হাউজের ডেপুটি কমিশনার মো. এনামুল হক বলেন, এটি একটি বিচ্ছিন্ন ঘটনা। ভোমরা স্থলবন্দরের সকল কার্যক্রম স্বচ্ছভাবে সম্পন্ন করা হয়।

/আরএইচ


সম্পর্কিত আরও পড়ুন




Leave a reply