মেডিকেল প্রতিবেদক:
ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে প্রতারক চক্রের খপ্পরে পড়েছেন বেদানা খাতুন নামে এক নারী। পরে এ ঘটনায় প্রতারক চক্রের দুই সদস্য মকবুল ও সুমনকে আটক করে পুলিশে দিয়েছে আনসার সদস্যরা। শনিবার (৩০ মার্চ) দুপুরে হাসপাতালের নতুন ভবনের পানির পাম্পের পাশে এ ঘটনা ঘটে।
ভুক্তভোগী বেদানা খাতুন জানান, তিনি আশুলিয়া এলাকার একটি বাসায় ভাড়া থাকেন। গত মঙ্গলবার (২৬ মার্চ) দোতলার ছাদ থেকে পড়ে তার স্বামীর মেরুদণ্ডের হাড় ভেঙে যায়। স্বামীর চিকিৎসা করাতে ওই দিনই ঢাকা মেডিকেলে আসেন তারা। ঘটনার দিন খাবার পানি নেয়ার জন্য হাসপাতালের পাম্পের সামনে এসেছিলেন তিনি। এসময় তিন জন লোক তার হাতে একতি পলিথিনে মোড়ানো ব্যাগ দেন। বলেন, আপনি আমার মায়ের মত। ব্যাগটি ধরেন এখানে ১ লক্ষ টাকা আছে। এসময় প্রতারক চক্রের সদস্যরা তাকে বলেন তাদের মাও হাসপাতালে ভর্তি আছেন।
তিনি আরও জানান, কিছুক্ষণ পর তারা তার কানের দুল, গলার চেইন নিয়ে নেয় এবং হাতে থাকা মোবাইল ফোনটিও নিয়ে যায়। তবে কিভাবে এসব নিয়ে গেল কিছুই বুঝতে পারেননি। পরে হুশ এলে দেখেন তারা চলে গেছে। পরে বিষয়টি হাসপাতালে নিরাপত্তার দায়িত্বে থাকা আনসার সদস্যদের জানান। কিছুক্ষণের মধ্যেই আনসারের একটি টহল দল তাকে নিয়ে ঢাকা হাসপাতালের চারপাশে খুজতে থাকেন। কিছুক্ষণ পর ওই প্রতারক চক্রদের দুজনকে ১০২ নং ওয়ার্ডের একটি গলিতে দেখা যায়। পরে তাদের আটক করা হয়। এরপর ওই দুই প্রতারকসহ বেদানা খাতুনকে ঢাকা মেডিকেলের পুলিশ ক্যাম্পে নেয়া হয়।
এদিকে, অপরাধের কথা স্বীকার করেছেন অভিযুক্ত ওই প্রতারক চক্রের সদস্য মকবুল ও সুমন। জানান, প্রায় দিনই ঢাকা মেডিকেলে প্রতারক চক্রের সদস্যদের সহযোগীতায় রোগীর স্বজনদের কাছ থেকে কৌশলে তাদের গয়নাগাটি ও মোবাইল ফোন হাতিয়ে নেয় তারা। চক্রের দুইজন ধরা পড়লেও আরেকজন পালিয়ে গেছে।
এ বিষয়ে ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের হাসপাতালের পুলিশ ফাঁড়ির ইনচার্জ পরিদর্শক বাচ্চু মিয়া জানান, আনসার সদস্যরা প্রতারক চক্রের দুই সদস্যসহ ভুক্তভোগী নারীকে ক্যাম্পে নিয়ে আসে। বিষয়টি শাহবাগ থানা পুলিশকে জানানো হয়েছে। তারা এ বিষয়ে ব্যবস্থা নিবেন বলেও জানান তিনি।
/এএস
Leave a reply