নেত্রকোণায় চাকরি দেয়ার নামে প্রতারণার অভিযোগ, প্রধান শিক্ষক কারাগারে

|

স্টাফ করেসপন্ডেন্ট, নেত্রকোণা:

নেত্রকোণায় চাকরি দেয়ার নামে টাকা নেয়ার অভিযোগের মামলায় এসএম সাজ্জাদুল হক নামে এক প্রধান শিক্ষককে কারাগারে পাঠিয়েছেন আদালত। রোববার (৩১ মার্চ) প্রতারণা মামলায় আদালতে মামলার হাজিরা দিতে গেলে বিচারক অভিযুক্ত ওই শিক্ষককে কারাগারে পাঠানোর নির্দেশ দেয়া হয়।

সাজ্জাদুল হক জেলার বারহাট্টা উপজেলার আশিয়ল সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক। আর ভুক্তভোগী আল আমিন একই উপজেলার বিক্রমশ্রী গ্রামের আব্দুল জলিলের ছেলে। দীর্ঘদিন টাকা ফেরতের আশ্বাস দিয়েও না দেয়ায় মামলা করেন আল আমিন।

স্থানীয় বাসিন্দা ও আদালত সংশ্লিষ্ট সূত্রে জানা গেছে, প্রধান শিক্ষক সাজ্জাদুল হক ও আল আমিন পূর্ব পরিচিত। এক বছর আগে নেত্রকোণার শেখ হাসিনা বিশ্ববিদ্যালয়ে গাড়িচালক পদে আবেদন করেন আল আমিন। চাকুরি পাইয়ে দেবার কথা বলে সাজ্জাদুল ভুক্তভোগী আল আমিনের কাছ থেকে ঘুষ হিসেবে ৫ লাখ টাকা নেন। তবে চাকুরি না হওয়ায় শর্ত অনুযায়ী টাকা ফেরত দেয়ার কথা থাকলেও তিনি তা দেননি।

এ নিয়ে গত ২৭ ডিসেম্বর থানায় লিখিত অভিযোগ করেন আল আমিন। প্রতিকার না পেয়ে গত ৮ ফেব্রুয়ারি নেত্রকোণার চিফ
জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট আদালতে মামলা করেন তিনি। আদালত মামলাটি আমলে নিয়ে সাজ্জাদুল হকের বিরুদ্ধে গ্রেফতারি পরোয়ানা জরি করেন। এরপরত থেকে সাজ্জাদুল উচ্চ আদালত থেকে জামিনে ছিলেন। রোববার নেত্রকোনা আদালতে হাজিরা দিতে গেলে আদালত তার জামিন নামঞ্জুর করে কারাগারে পাঠানোর নির্দেশ দেন।

বিষয়টি নিশ্চিত করে বাদীপক্ষের আইনজীবী মীর্জা হুমায়ুন বলেন, অভিযুক্ত ওই শিক্ষক এর আগে উচ্চ আদালত থেকে ছয় সপ্তাহের জামিন নিয়েছিলেন। জামিনের শর্তানুযায়ী রোববার নেত্রকোনা চিফ জুডিশিয়াল আদালতে হাজির হয়ে জামিন আবেদন করলে বিচারক তা নামঞ্জুর করে কারাগারে পাঠানোর নির্দেশ দেন।

বাদী আল আমিন বলেন, সাজ্জাদুল হককে এলাকার অনেকের সামনে টাকা দিয়েছি। চাকরি না হলে টাকা ফেরত দেবেন বলেছিলেন। এখন চাকরিও হয়নি, টাকাও দিচ্ছেন না। তাই তার বিরুদ্ধে মামলা করেছি। আশা করছি ন্যায়বিচার পাবো।

এ বিষয়ে বারহাট্টা উপজেলা শিক্ষা কর্মকর্তা সিরাজুল ইসলাম বলেন, একটি মামলায় প্রধান শিক্ষক সাজ্জাদুলকে আদালত কারাগারে পাঠিয়েছেন বলে খবর পেয়েছি। এ বিষয়ে কাগজপত্র পাওয়ার পর নিয়মানুযায়ী তাকে সাময়িক বহিষ্কার করা হবে বলেও জানান তিনি।

/এএস


সম্পর্কিত আরও পড়ুন




Leave a reply