বেইলি রোডের গ্রিন কোজি কটেজে ভয়াবহ অগ্নিকাণ্ডের ঘটনায় রাজধানী উন্নয়ন কর্তৃপক্ষের (রাজউক) চেয়ারম্যানের কাছে প্রতিবেদন জমা দিয়েছে তদন্ত কমিটি। তদন্তে ভবনটির মালিক ও ব্যবহারকারীদের গাফিলতির প্রমাণ মিলেছে বলে জানা গেছে। অভিযুক্তদের বিরুদ্ধে শাস্তিমূলক ব্যবস্থা গ্রহণের পক্ষে মত দিয়েছে তদন্ত সংশ্লিষ্টরা।
এর আগে, গত ২৯ ফেব্রুয়ারি রাতে ভয়াবহ অগ্নিকাণ্ড ঘটে গ্রিন কোজি কটেজ নামক এ ভবনটিতে। নিচ তলায় লাগা আগুন মুহূর্তে ছড়িয়ে পড়ে পুরো ভবনে। আটকা পড়েন বহু মানুষ। ভাগ্যক্রমে কেউ কেউ বেঁচে ফিরলেও, নারী ও শিশুসহ জীবন প্রদীপ নিভে যায় ৪৬ জনের।
ভয়াবহ ওই অগ্নিকাণ্ডের ঘটনায় রাষ্ট্রের কয়েকটি সংস্থা একাধিক তদন্ত কমিটি গঠন করে। সাত দিনের মধ্যে প্রতিবেদন জমা দেয়ার কথা ছিল কয়েকটি কমিটির। তবে, মাস পেরিয়ে গেলেও দেখা মিলছিল না তদন্তে আলোর মুখ। এবার খবর এসেছে, তদন্ত প্রতিবেদন জমা দিয়েছে রাজউকের তদন্ত কমিটি। বাকিগুলো এখনও জমা দিতে পারেনি প্রতিবেদন।
তদন্ত কমিটি তিন দিন আগেই প্রতিবেদন জমা দিয়েছে এমন তথ্য নিশ্চিত করে রাজউকের মুখপাত্র মো. আশরাফুল ইসলাম বলেন, ভবনটির অকুপেন্সি সার্টিফিকেট ছিলো না। সিড়ি ধোঁয়ামুক্ত রাখতে ছিল না ফায়ার ডোর। তাছাড়া, ব্যবহার-বিধিতেও ছিলো ব্যাপক অনিয়ম। ভবনটির উপরের ফ্লোরগুলো আবাসিক হিসেবে ব্যবহারের কথা থাকলেও বাণিজ্যিক হিসেবে ব্যবহৃত হয়েছে। সামগ্রিকভাবে ভবনটির মালিক ও ব্যবহারকারীদের গাফিলতির প্রমাণ মিলেছে তদন্তে।
তদন্ত প্রতিবেদন অনুযায়ী যথাযথ ব্যবস্থা নেয়া হবে বলে জানিয়ে তিনি বলেন, প্রতিবেদন অনুযায়ী রাজধানীতে এমন ঘটনা যাতে আর না ঘটে সেটা নিশ্চিতের পাশাপাশি ভবনগুলো নিয়মিত তদারকির ব্যবস্থা করা হবে। যথাযথ ব্যবস্থা নিলে এ ধরণের দুর্ঘটনা এড়ানো সম্ভব বলেও মন্তব্য করেন তিনি।
/এমএইচ
Leave a reply