সুলতানি ও মোঘল স্থাপত্যের অন্যতম নিদর্শন আতিয়া মসজিদ

|

ছবি- সংগৃহীত

সুলতানি ও মোঘল স্থাপত্যশৈলির অন্যতম নিদর্শন টাঙ্গাইলের আতিয়া মসজিদ। প্রায় ৪১৫ বছর আগে নির্মিত মুসলিম এই স্থাপনা যুগসন্ধিলগ্নের নিদর্শন হিসেবে পরিচিত।

দৃষ্টিনন্দন এ মসজিদ টেরাকোটার তৈরি। আছে অষ্টকোণাকৃতি মিনার। মসজিদটির প্রধান কক্ষ ও বারান্দা দুই ভাগে বিভক্ত। প্রধান কক্ষের দেয়ালে আছে দু’টি পাথরের স্তম্ভ, উপরে বিশাল গম্বুজ। ভিতরে কারুকার্যখচিত ৩টি মেহরাব। সেইসাথে রয়েছে ফার্সি ভাষার শিলালিপিও। দেয়াল ও গম্বুজের দুর্লভ কারুকাজ মসজিদটির সৌন্দর্য বাড়িয়েছে কয়েকগুণ।

বিষয়টি নিয়ে স্থানীয় এক মুসল্লি বলেন, ইটের মধ্যে এমন কিছু কারুকার্য রয়েছে যেগুলো চারশ বছরের বেশি পুরনো। তবে সেসব কারুকাজ এখনও নষ্ট হয়নি। এগুলো মসজিদের সৌন্দর্য শতগুণ বাড়িয়ে দিয়েছে।

১৯৭৮ সালে ১০ টাকার নোটের প্রচ্ছদে ঐতিহাসিক এই মসজিদ স্থান পায়। এতে দেশবাসীর কাছে জনপ্রিয় হয়ে উঠে আতিয়া মসজিদ। শত শত বছর পুরনো এই মসজিদটি সংরক্ষণে যথাযথ ব্যবস্থা নেয়ার দাবি স্থানীয়দের।

স্থানীয় এক মুসল্লি বলেন, আমার জীবনে তিনবার সংস্কার করতে দেখেছি। তবে সংস্কার ঠিকঠাক হয়নি। সেজন্য তিনবার করা লেগেছে। আরেক মুসল্লি বলেন, প্রায় ৫০০ বছরের পুরনো মসজিদ এটি। কিছু সংস্কার কাজ করা দরকার যাতে ঐতিহাসিক এই স্থাপনাটি ধ্বংস না হয়।

কালের সাক্ষী হয়ে দাড়িয়ে থাকা মসজিদটি টিকিয়ে রাখতে, সংস্কার করা হবে বলে জানিয়েছেন টাঙ্গাইল জেলা প্রশাসক কায়ছারুল ইসলাম। তিনি বলেন, মন্ত্রণালয় যদি বাজেট দেয় তাহলে দ্রুত সময়ের মধ্যে সংস্কার কাজ শুরু হবে। এছাড়া স্থানীয়ভাবে অল্প পরিসরে এটি সংস্কারের উদ্যোগ ইতোমধ্যেই নেয়া হয়েছে।

উল্লেখ্য, ১৬০৯ খ্রিষ্টাব্দে তৎকালীন আতিয়া পরগনার জমিদার সাঈদ খান পন্নী এই মসজিদ নির্মাণ করেন। যার নির্মাণ কাজে নিযুক্ত ছিলেন প্রখ্যাত স্থপতি মুহাম্মদ খাঁ।

/এনকে


সম্পর্কিত আরও পড়ুন




Leave a reply