ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলার আশুগঞ্জে মসজিদের ভেতর নামাজের মাসআলা নিয়ে কথা-কাটাকাটির জেরে দু’পক্ষের সংঘর্ষের ঘটনায় আশুগঞ্জ থানায় মামলা হয়েছে। রোববার (৭ এপ্রিল) দায়ের করা এ মামলায় ২৩ জনের নাম উল্লেখসহ আরও ২০-২৫ জনকে অজ্ঞাত আসামি করেছে পুলিশ।
এর আগে শুক্রবার হওয়া এ সংঘর্ষে পুলিশসহ অন্তত ১৫ জন আহত হয়। এ সময় হামলা করা হয় মসজিদেও। পুলিশ ও স্থানীয়রা জানায়, চরচারতলা উত্তরপাড়া জামে মসজিদে ইমামতি করেন ‘মোল্লাবাড়ির নেতা’ মহিউদ্দিন মোল্লা। শুক্রবার এশা ও তারাবির নামাজ শেষে ইমামের অনুমতি নিয়ে নামাজের কিছু মাসআলা নিয়ে মুসল্লিদের দৃষ্টি আকর্ষণ করেন ‘কিছকি বাড়ির নেতা’ ঠিকাদার শফিকুর রহমান।
এ নিয়ে মুসল্লিদের দু’পক্ষের মধ্যে সে সময়েই কথা-কাটাকাটি ও হাতাহাতি হয়। পরে নামাজ শেষে মসজিদের বাইরে উভয়পক্ষ দেশীয় অস্ত্রশস্ত্র নিয়ে সংঘর্ষে জড়িয়ে পড়ে। ভেঙে ফেলা হয় মসজিদের দরজা-জানালাও।
এদিকে, মসজিদের ইমাম মহিউদ্দিন মোল্লা বলেন, তারাবি শেষে শফিকুর রহমান দুই মিনিট কথা বলতে অনুমতি চাইলে আমি তাকে অনুমতি দেই। পরে তিনি মসজিদের কোনো মুসল্লিরই নামাজ হয় না বলে ফতোয়া দিলে উপস্থিত মুসল্লিরা এর প্রতিবাদ করেন। এতে শফিকুল ইসলামের বাড়ির লোকজন ক্ষিপ্ত হয়ে মসজিদসহ বাড়ির লোকজনের ওপর হামলা করে।
অন্যদিকে, মুসল্লি ঠিকাদার শফিকুর রহমান বলেন, তারাবি শেষে অনুমতি নিয়ে নামাজের কিছু জরুরি মাসআলার বিষয়ে ইমাম ও মুসল্লিদের দৃষ্টি আকর্ষণ করেন। এতে ইমাম ও তার লোকজন ক্ষিপ্ত হয়। পরে তারা অতর্কিত হামলা চালিয়ে ভাঙচুর করে। এসময় শফিকুর রহমানের বাড়ির আট জন গুরুতর আহত হয়েছেন বলেও জানান তিনি।
তবে স্থানীয়রা জানিয়েছে, মসজিদের ইমাম স্থানীয় একটি মাদরাসার অধ্যক্ষ। মাদরাসাটির নামকরণ নিয়ে দু’পক্ষের মধ্যে দীর্ঘদিন ধরে বিরোধ চলে আসছে। মসজিদে মাসআলা সংক্রান্ত বিষয়টি একটি অজুহাত বলেও অভিযোগ তাদের।
এ বিষয়ে আশুগঞ্জ থানার ওসি নাহিদ আহম্মেদ জানান, সংঘর্ষ নিয়ন্ত্রণ করতে পুলিশ রাবার বুলেট নিক্ষেপ করে। এ সময় অফিসারসহ তিন পুলিশ সদস্য আহত হয়। ঘটনার পর থেকে এলাকায় পুলিশ মোতায়েন রয়েছে।
/এমএইচ
Leave a reply