ঢাকা প্রিমিয়ার লিগের হাইভোল্টেজ ম্যাচে প্রাইম ব্যাংক ক্রিকেট ক্লাবকে ৫৮ রানে হারিয়ে টানা ১০ ম্যাচে জিতে, শতভাগ জয়ের রেকর্ড ধরে রাখলো ঢাকা আবাহনী। আগে ব্যাট করতে নেমে নাঈম শেখ আর নাজমুল শান্ত’র শতকের পর তাওহিদ হৃদয়ের ঝড়ো ফিফটিতে ৩৪২ রানের বিশাল সংগ্রহ দাড় করায় আবাহনী। লক্ষ্য তাড়া করতে নেমে মুশফিকুর রহিমের সেঞ্চুরির ও পারভেজ ইমনের ফিফটি পরও ২৮৩ রানে গুটিয়ে যায় প্রাইম ব্যাংক। এদিন, ব্যাট হাতে ব্যর্থ ছিলেন তামিম ইকবাল।
টসে হেরে প্রথমে ব্যাটিংয়ে নেমে আবাহনীকে দুর্দান্ত শুরু এনে দেন এনামুল হক বিজয় ও নাঈম শেখ। দু’জনেই করেছেন দারুণ ব্যাটিং। হাসান মাহমুদ-শেখ মাহেদীদের খুব একটা পাত্তা দেননি তারা। মারার বল পেলেই বাউন্ডারি মেরেছেন আবাহনীর দুই ওপেনার। তবে বিজয় নিজেকে দূর্ভাগা ভাবতেই পারেন। রান আউটের শিকার হয়ে ফিফটি মিস করেছেন ডানহাতি এ ব্যাটার। প্যাভিলিয়নে ফেরার আগে ৭৩ বলে দুটি করে চার ও ছক্কার মারে করেছেন ৪৫ রান। ভাঙে নাঈমের সাথে ১১০ রানের ওপেনিং জুটি।
বিজয় ফিরলেও দমে যাননি নাঈম। ৯৭ বলে চলমান ডিপিএলের প্রথম সেঞ্চুরি তুলে নেন বাঁহাতি এ ওপেনার। এরপর অবশ্য বেশিক্ষণ টিকতে পারেননি তিনি। রেজাউর রহমান রাজার বলে মুশফিকুর রহিমের হাতে ক্যাচ দিয়ে প্যাভিলিয়নে ফেরেন তিনি। তার আগে ১০৪ বলে ১০ বাউন্ডারি ও ২ ছক্কায় করেছেন ১০৫ রান।
তিন নম্বরে উইকেটে আসার পর থেকেই দারুণ ব্যাটিং করেন শান্ত। শুরুতে সময় নিয়েছেন, প্রাইম ব্যাংকের বোলারদের দেখেশুনে খেলেছেন। এরপর সময় যত গড়িয়েছে ততই স্বভাবসুলভ ব্যাটিং করেছেন তিনি। ৭৭ বলে এবারের ডিপিএলের প্রথম সেঞ্চুরি পেয়ে যান শান্ত। এরপর আরও আক্রমণাত্মক ব্যাটিং করেন জাতীয় দলের অধিনায়ক। হাসানের বলে বোল্ড হয়ে প্যাভিলিয়নে ফেরার আগে ৮৫ বলে ১২ বাউন্ডারি ও ৪ ছক্কায় করেছেন ইনিংস সেরা ১১৮ রান। শান্ত এদিন ব্যাটিং করেছেন ১৩৮.৮২ স্ট্রাইকরেটে।
দুই শতকে কিছুটা ঢাকা পড়েছে তাওহিদ হৃদয়ের ইনিংস। একদফায় জীবন পেয়ে ৩৫ বলে ৪ ছক্কা আর দুই বাউন্ডারিতে ৬৫ রানের ঝড়ো ইনিংসে আবাহনীর স্কোরটা ৪ উইকেটে ৩৪১ এ নিয়ে যান হৃদয়।
আবাহনীর দেয়া ৩৪২ রানের লক্ষ্যে ব্যাটিংয়ে নেমে শুরুতেই তামিমের উইকেট হারায় প্রাইম ব্যাংক। ৭ বলে মাত্র ১ রান করে তাসকিন আহমেদের বলে স্লিপে ক্যাচ দিয়েছেন জাতীয় দলের সাবেক অধিনায়ক। তবে পারভেজ হোসেন ইমন করেছেন দারুণ ব্যাটিং। চলমান ডিপিএলে দুদান্ত ফর্মে আছেন তরুণ এ ব্যাটার। ৭০ বলে ৫৬ রানের ইনিংস খেলেছেন তিনি।
প্রথম ম্যাচে মাঠে নামা মুশফিক শুরুতে সময় নিয়েছেন। শরীফুল ইসলাম-তানজিম সাকিবদের দেখেশুনে খেলেছেন। এরপর সময় যত গড়িয়েছে দুর্দান্ত সব শট খেলেছেন ডানহাতি এ ব্যাটার। ৯৬ বলে সেঞ্চুরি পূর্ণ করেন মুশফিক। শেষ পর্যন্ত অপরাজিত ছিলেন ১০৫ বলে ১১১ রান করে অপরাজিত ছিলেন তিনি। মুশফিকের ইনিংসটিতে ছিল ১২টি চারের মার। আবাহনীর হয়ে তিনটি করে উইকেট নিয়েছেন সাকিব ও তাসকিন।
এদিকে বিকেএসপিতে আরেক ম্যাচে গাজী টায়ার্সকে ১০ উইকেটের বিশাল ব্যবধানে হারিয়ে লেজেন্ডস অব রুপগঞ্জ। আর ফতুল্লায় পারটেক্সের বিপক্ষে ৫ উইকেটের জয় পেয়েছে শেখ জামাল।
/আরআইএম
Leave a reply